নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম জোবায়ের নিজের পরিচয় গোপন রাখতে বোরখা পরেছিল বলে আদালতকে জানিয়েছেন সাক্ষী সোনাগাজী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী। গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে দেয়া সাক্ষ্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আদালতকে বলেন, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে পিবিআইয়ের একটি টিম মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম মো. জোবায়েরকে নিয়ে সোনাগাজী সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে ডাঙ্গি খালের কাছে আসে। খবর পেয়ে আমি ও আমার কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাসহ সেখানে যাই। ঘটনার দিন আসামি জোবায়েরের পরিহিত বোরখাটি উদ্ধারের জন্য তার দেখানো মতে আমাদের সম্মুখে স্থানীয় লোকজন দিয়ে তল্লাশি করে।
তল্লাশির এক পর্যায়ে সোনাগাজী-দাসেরহাট সড়কের শেখ গোলাম সরোয়ার মানিকের দোচালা টিনের ঘর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে খাল থেকে একটি কালো বোরখা উদ্ধার করা হয়। বোরখাটি আমার সামনে জব্দ করা হয়। পরে আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি। আমাদের সম্মুখে আসামি সাইফুল ইসলাম মো. জোবায়ের জানায়, নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দেয়ার সময় সে তার পরিচয় গোপন করার জন্য বোরখাটি পরেছিল। আগুন দিয়ে পালানোর সময় বোরখাটি ওই স্থানে ফেলে যায়।’
নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ওইদিন প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহীম, রেজা মো. এনামুল হক, মো. নুর উদ্দিন, আকরাম হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ বলেন, ৬ এপ্রিল ঘটনার দিন সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নুসরাত কিলিং মিশনে জোবায়েরের ব্যবহৃত বোরখা যে পুলিশ জব্দ করেছিল, সাক্ষীরা গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আরও চারজন সাক্ষ্য দেবেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।