ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তা রঞ্জিত সূত্রধরের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এরপর তাঁকে জেরা করা হয়। রোববার (১৯ আগস্ট) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচারকাজ চলছে।
আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান ফেনী জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ। তিনি জানান, গতকাল চট্টগ্রাম সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ও হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. শামছুল আলমের পক্ষে তাঁর সহকারী রঞ্জিত সূত্রধর আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রঞ্জিত সূত্রধর আদালতকে বলেছেন, গত ৯ এপ্রিল নুসরাতের খাতা থেকে পুলিশ একটি চিঠি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম সিআইডির কার্যালয়ে পাঠায়। পরে সহকারী পুলিশ সুপার ও হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. শামছুল আলম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সে সময় তিনি তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
রঞ্জিত আদালতকে আরও বলেন, শামছুল আলম হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করায় আদালতে তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তিনি।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল পরীক্ষা দিতে গেলে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।