নুসরাত হত্যার দায় কার ? - Dainikshiksha

নুসরাত হত্যার দায় কার ?

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

নুসরাতকে নিয়ে ক'দিন ধরে কিছু লিখবো লিখবো বলে তা আর হয়ে ওঠে না৷ লিখতে বসলেই ওর নিষ্পাপ মুখটি বার বার চোখের সামনে ভেসে ওঠে৷ কী যেন এক প্রতিবাদের ভাষা ওর কণ্ঠে শুনতে পাই৷ চিরায়ত ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে ওর কী যেন একটা ফরিয়াদ৷ সে অভিযোগের দায় থেকে কারো বাঁচার সুযোগ নেই৷ রক্ষা পাবার পথ নেই৷ সিরাজুদ্দৌলা নামের কুলাঙ্গারটি এ সমাজের তৈরি মানুষরূপী জানোয়ার৷ এ সমাজে তার জন্ম৷ এ সমাজে তার বেড়ে উঠা৷ এটি তার একদিনের অপরাধ মাত্র৷ সে এ রকম আরো বহু অন্যায় অনিয়ম করে থাকে৷ মাদরাসাটি লুটেপুটে খায়৷ দাপটের সাথে চলে৷ তাকে সুরক্ষা দেবার জন্য সোনাগাজির ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমের তৎপরতা এখন কারো অজানা নয়৷ ওসি মোয়াজ্জেমের কারণে পুলিশের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে৷ মাদরাসার টাকা দেদারছে খরচ করে সিরাজ নিজের একটি বাহিনী গঠন করেছে বলে সবার কাছে প্রতীয়মান৷ মাদরাসা কমিটির লোকজনও তার নানা কুকর্ম সমর্থন করে৷ 

ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি রুহুল আমিনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷ বেসরকারি কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধানের কু-কীর্তির বিষয়টি এ ঘটনার মাধ্যমে সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে৷ সিরাজুদ্দৌলা শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত করেছে৷ চোখে মুখে চুনকালি দিয়েছে৷ ইতিহাসের মহানায়ক বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার নামে ওর নামটি কে রেখেছিল জানিনা৷ ওর কারণে ইতিহাসের অবিসংবাদিত নামটির অবমাননা হয়েছে৷ এ নামটি তার বাবা-দাদা অথবা অন্য যিনি দিয়ে থাকুন না কেন জানলে জন্মের দিনই গলা টিপে মেরে ফেলতেন৷ মাদরাসা শিক্ষাকে সে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷ এমনিতে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে অনেকের নেতিবাচক ধারণা৷

মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই৷ নুসরাতের এ ঘটনার পর আরেক মাদরাসা সুপার দু'জন ছেলেকে ঘরে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেছে৷ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবরটি জেনেছি৷ মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে মানুষের নেতিবাচক ধারণাটি আরো বদ্ধমূল হয়েছে৷ আমাদের সমাজে সোনাগাজি মাদরাসার প্রিন্সিপাল সিরাজ খেয়ে পরে বড় হয়েছে৷ এ সমাজ তার ভেতরের হিংস্র জানোয়ারটাকে চিনতে পারেনি৷ লালন পালন করেছে৷ একদল পা চাটা কুত্তা তাকে খাইয়ে পড়িয়ে বড় করেছে৷ এরা তার মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে চেয়েছে৷ মানববন্ধন করার দুঃসাহস দেখিয়েছে৷

ফেনীর সোনাগাজি উপজেলার মেয়ে নুসরাত৷ সাধারণ এক গ্রাম্য পরিবারের মেয়ে৷ সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম শ্রেণির ছাত্রী৷ পুরো নাম নুসরাত জাহান রাফি৷ সারা দেশে এক নামে আজ তার পরিচয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন কেবল নুসরাত আর নুসরাত৷ জানিনা তার এ পরিচিতি ক’দিন টেকে? মিডিয়া তাকে ক'দিন ধরে রাখে কে জানে ? আমাদের স্বভাব এমন যে, কিছুদিন গত হলে যে কোন বিষয় দ্রুত ভুলে যেতে শুরু করি৷ নুসরাত হত্যার মত কত লোম হর্ষক হত্যাকাণ্ডের কথা নির্দ্ধিধায় আমরা ভুলে যেতে পেরেছি৷ উপস্থিত ক'দিন আমরা হৈ-চৈ করি বটে৷ এরপর আর কোন সাড়া শব্দ থাকে না৷ যে কোন ঘটনায় প্রথম প্রথম আমরা খুব সোচ্চার হই৷ পরে ঠিক তেমন সরব থাকি না৷ কেন জানি নীরব হয়ে যাই৷ যতদিন সোচ্চার থাকি ততদিন মনে হয় অপরাধীর রেহাই নেই৷ কোনভাবে ছাড় নেই৷ তারপর আস্তে আস্তে এ নিয়ে আর কোন তোড়জোড় থাকে না৷ তখন থেকে বিচারের বাণী নীরব নিভৃতে কাঁদতে শুরু করে৷ সব ভুল পড়ে যায়৷ 

নুসরাতের মত তনু, মিতু, রিসা, নিহার বানু,রুনি,শারমিন রীমা এদের নিয়ে আমরা কত বলাবলি আর মাতামাতি করেছি৷ এইতো মাত্র ক'দিন৷ এরপর আমরা যার যার মত ভুলে যাই৷ নারীর প্রতি সহিংসতা সমানেই চলতে থাকে৷ পৃথিবীতে যে ক'টি দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা জঘন্য আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশ তার অন্যতম৷ এ লজ্জা আমাদের সবার৷ এ কারণে আমাদের সব ভাল অর্জন আজ প্রশ্নের মুখে৷ নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সূচকে আমরা পৃথিবীতে অনেকের নীচে এখন৷ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে বটে৷ নারীর প্রতি সহিংস আচরণে আমরা কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই৷ এ কারণে নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের সাফল্যের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে আছে৷

নুসরাতকে যে কায়দায় হত্যা করা হয়েছে তা আমাদের আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷ সে যুগে শিক্ষা-দীক্ষা ছিল না৷ সভ্যতার আলো তখনো জ্বলেনি৷ তবু তাদের আমরা ঘৃণা করি৷ আজ ভাবতে সত্যি অবাক লাগে সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার এ যুগে এসেও আমরা এখনো কতো অমানবিক! ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মাদরাসার প্রধান হয়েও কুলাঙ্গার সিরাজুদ্দৌলা যে অপকর্মটি করেছে সেটির কী সাজা হবে জানি না৷ এরকম বদমাইশদের প্রকাশ্য গুলি করে কিংবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা উচিত হবে৷ 

নুসরাতের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের চোখে আঙ্গুল মেরে কী দেখিয়ে দেয়? তার অদম্য সাহস স্কুল,কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া মেয়েদের নির্ভীক হবার প্রেরণা দেয়৷ নুসরাত যে সাহস দেখিয়েছে সেটি আমাদের সব মেয়েদের থাকলে প্রতিদিন ধর্ষণ, অপহরণ ,নিপীড়ন, নির্যাতন ও যৌন হয়রানির মত মর্মান্তিক সংবাদ আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হতো না৷ এখনো সমাজ মেয়েদের সাহসী হতে শেখায়নি৷ সাহসী কিংবা প্রতিবাদী হওয়া মেয়েদের জন্য শোভন নয়-সেটিই সমাজ শিখিয়েছে৷ যে মেয়ে নীরবে নিভৃতে সব হজম করে যায় সে সতী সাবিত্রী বিনয়ী লক্ষী পয়মন্ত৷ ধর্ষিত হয়েও যদি মুখ বুজে সহ্য করে নেয় আর কেউ জানতে না পারে তাহলে সেই সমাজের কাছে সতী সাধ্বী নারী৷ জেনে গেলে বিপদ৷ সে মেয়ে দশজনের কাছে কুলটা হয়৷ বেশ্যা উপাধি পায়৷ যুগ যুগ ধরে সমাজ সে শিক্ষাই দিয়ে আসছে৷ চিরাচরিত সে শিক্ষাটি নুসরাত নেয়নি৷ লম্পট সিরাজুদ্দৌলার যৌন লালসা চরিতার্থ করতে দেয়নি নুসরাত৷ তার মুখোশ উন্মোচন করার সাহস সঞ্চয় করে মামলা করেছে৷ গ্রেফতার হয়েও সিরাজ তার চামচা চাটুকার দিয়ে মামলা উঠিয়ে নেবার উপর্যুপরি হুমকি ধমকি দিয়েছে৷ কিন্তু নুসরাত তাতে অনঢ়৷ এরপর নাটকের মূল দৃশ্যটি মঞ্চায়ন হয়৷

৬ এপ্রিল শনিবার সকালে নুসরাত সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে যায়৷ তার বান্ধবীকে মাদরাসার ছাদে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে একটি মিথ্যে সংবাদ নুসরাতকে দেয়া হয়৷ নুসরাত বান্ধবীর মায়ার টানে ছাদে ছুটে যায়৷ সেখানে ঘাপটি মেরে বসে থাকা অধ্যক্ষের পা চাটা কুত্তা বাহিনী নুসরাতের হাত-মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ ৮৫ শতাংশ দেহ দগ্ধ হয় নুসরাতের৷ ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ করে অগ্নিদ্ধ নুসরাত জাহান রাফি৷ মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা নুসরাতকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন৷ তার আগেই অভিমানী নুসরাত ধরাধামের মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি দেয়৷ থমকে উঠে গোটা দেশ৷ স্তব্ধ হয় সব মানুষের বিবেক৷

নুসরাতের মৃত্যু নিছক কোন হত্যাকাণ্ড নয়৷ এটি আমাদের অভিজ্ঞতার এক নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে৷ হাজার চেষ্টা করেও নুসরাতকে আমরা আর ফিরে পাবো না৷ মাথা কুটে হলেও না৷ এ থেকে আমাদের কিছু বিষয় খুঁজে বের করতে হবে৷ এ জাতীয় ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে৷ ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কেবল নুসরাতের জন্য কেঁদে কেটে পাগল না হয়ে আর যাতে কোন নুসরাত যৌন লালসার শিকার কিংবা নিপীড়িত হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী না হয় সে বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবার এখনই সময়৷

নুসরাত হত্যাকাণ্ড থেকে যে বিষয়গুলো বেরিয়ে এসেছে সেদিকে একটু আলোকপাত করা যাক৷ সর্বপ্রথম যে দিকটি আমাদের কাছে ধরা পড়ে সেটি হল, আমাদের দেশের মাদরাসা শিক্ষাকে সর্বাগ্রে যুগোপযোগী করা আবশ্যক৷ মাদরাসার কারিকুলাম, সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তকের আধুনিকায়ন অপরিহার্য কাজ৷ মাদরাসার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা আরো জোরদার করা চাই৷ বেসরকারি হবার সুবাদে অনেক মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজিং কমিটি স্বেচ্ছাচারী হয়ে থাকে৷ তাদের যুগসাজসে মাদরাসার আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে৷ তহবিলের পুকুর চুরি থেকে সাগর চুরি হয়৷ যেমনটি ঘটেছে ফেনীর সোনাগাজি ইসলামিয়া মাদরাসায়৷ অনুরূপ বেসরকারি হবার কারণে অনেক স্কুল-কলেজেও এমনটি হয়ে থাকে৷ বেসরকারি হবার কারণে সোনাগাজির প্রিন্সিপাল তার মাদরাসা কমিটির সহায়তায় কোটি টাকার মালিক হতে পেরেছে বলে ওসিকে হাত করতে পেরেছে৷ দলীয় লোকদের তার পক্ষে খাটাতে পেরেছে৷ নিজস্ব বাহিনী তৈরি করতে পেরেছে৷ এ সবে টাকা লাগে৷ মাদরাসার তহবিল মেরে না থাকলে এতো টাকা সে পায় কোথা থেকে? আর্থিক স্বচ্ছতা যার নেই মানবিক মূল্যবোধ তার থাকেনা৷ নৈতিক স্খলন তাকে পেয়ে বসা খুব স্বাভাবিক৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়টি বহু আগ থেকেই সবার নজরে এসেছে৷ নুসরাতের ঘটনায় সেটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে৷ একজন মাদরাসা শিক্ষকের কাছে মেয়ের সমান একজন ছাত্রী যখন যৌন লালসার শিকার হয় তখন মেয়ে শিক্ষার্থীরা কোথায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজবে? অভিভাবকরা কোন ভরসায় ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় পাঠাবে? শিক্ষক নিয়োগের সময় নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিষয়টি পরখ না করে নিয়োগ দেয়া ঠিক হবেনা৷ যেহেতু এনটিরসিএ'র মাধ্যমে এখন শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয় সেহেতু এনটিআরসিএ'কে এখন থেকে এ বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার অনুরোধ জানাই৷ 

সোনাগাজি থানার ওসির কর্মকাণ্ডে নুসরাতের পরিবার তো বটে সারা দেশের মানুষ পীড়িত হয়েছে৷ আমাদের দেশে পুলিশ বিভাগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনোভাব খুব নেগেটিভ৷ তাই উল্লিখিত ওসিকে কঠোর শাস্তির আওতায় এনে পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার৷ তা না হলে পুলিশের উপর মানুষের এক পয়সারও আস্থা বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকেনা৷ এ ছাড়া নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কথিত জনপ্রতিনিধি ও কমিটির সদস্যদের চরিত্র সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে৷ ম্যানেজিং কমিটির অসাড়তা প্রমাণিত হয়েছে৷ সব স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা একত্রে জাতীয়করণ করে নিলে খুব ভাল হয়৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তথা যৌন হয়রানি বন্ধে জাতীয়করণের বিকল্প আর কোন পথ দেখিনা৷ গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি অযথা রেখে কী লাভ? লাভ তো খুঁজে পাইনা৷

সবশেষে দু'টো কথা বলে এখানেই শেষ করতে চাই৷ আমরা নুসরাতের জন্য যত কান্নাকাটি করিনা কেন তার মা-বাবা ও ভাই-বোনের কষ্টের সমান কারো কষ্ট হবেনা৷ তার ছোট ভাইয়ের একটি স্ট্যাটাস সেদিন ফেসবুকে পড়েছিলাম৷ আমার মনে হয়েছে সবার কষ্ট একত্র করলেও তার কষ্ট এরচে বেশী হবে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের ছোট ভাইকে কি যেন একটা চাকরি দিয়েছেন৷ বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই তিনি এসব করে থাকেন৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ে একটি অনুরোধ করতে চাই৷ লম্পট সিরাজুদ্দৌলাসহ সংশ্লিষ্ট সব দোষীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করে ফেনী সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার নামটি নুসরাত জাহান রাফির নামে পুনঃনামকরণ করা হউক৷ অনিয়ম ,দুর্নীতি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতনের কবর রচিত হউক এ মাদরাসা থেকেই৷ মাদরাসাটির পুনঃনামকরণ নুসরাত জাহান রাফির নামে হলে তার বাবা-মা ও ভাই-বোনের মনে একটা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মাদরাসাটি নুসরাতের সাহসিকতার স্মৃতির স্মারক হিসেবে যুগ যুগ ধরে সিরাজুদ্দৌলার মত লম্পটদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে থাকবে৷ 

পরিশেষে নুসরাতের উদ্দেশ্যে এটুকু বলি- পরকালে ভাল থেকো, নুসরাত৷ অনেক ভাল থেকো, মা৷ আমরা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি৷ এ ব্যর্থতা আমাদের৷ দায় ও আমাদের৷

লেখক: অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট এবং দৈনিক শিক্ষার নিজস্ব সংবাদ বিশ্লেষক৷

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041730403900146