মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে হত্যা করতে ছাদে নিয়ে যায় শম্পা। এমন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ভাগনি (শ্যালিকার মেয়ে) উম্মে সুলতানা পপি (শম্পা)।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এদিকে, একই আদালত জাবেদ হোসেনকে আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে ১৩ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দেন। নুসরাত হত্যা মামরার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি জাবেদ হোসেন। সে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে।
পিআইবির চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে যে দুজন নারী সদস্য জড়িত ছিল তাদের মধ্যে উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা একজন।
সে জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জানায়, নুসরাতকে সে নিচ থেকে ডেকে নেয়। এ ছাড়া সে পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিবিআইয়ের অন্য একটি সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের তিনটি সভার মধ্যে প্রথমটিতে সে ও মণি উপস্থিত ছিল।
হত্যাকাণ্ডের সময় পপি ও মণি হাত বাঁধে, জাবেদ ও যোবায়ের কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তারা পরীক্ষার হলে অবস্থান করে। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন ও হাফেজ আবদুল কাদের তাদের নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল শম্পা সন্দেহে সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে উম্মে সুলতানা পপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে একই মাদরাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষার্থী।