পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষায় জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কলি রায়কে হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই হল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। কলি রায় এ ব্যাপারে শনিবার ৩য় ও ৪তুর্থ শ্রেণি নিয়োগ/বাছাই কমিটির সদস্য সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অনুলিপি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বরাবরে।
জানা গেছে, পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে শুক্রবার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিট পড়ে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার শালদীঘা গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র রায়ের মেয়ে পরীক্ষার্থী কলি রায়ের (কক্ষ নং- ১০৯ তার রোল নং- ১৭৩৬৭১৯৩) ওই হলে পরিদর্শক ছিলেন জেলা সদরের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কল্যাণী সেন।
কলি রায়ের অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালে ওই দুই শিক্ষক তাকে নানাভাবে বিরক্ত করেন। এমন কী পরীক্ষা হলে প্রবেশের আগেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন যাতে কলি রায় লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করেন। পরীক্ষা দিতে বসলে শফিকুল ইসলাম তালুকদার বারবার তার উত্তরপত্র টেনে নেন উল্টে পাল্টে দেখেন। এক পর্যায়ে সঠিক উত্তরপত্রে বৃত্ত ভরাট থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নিজে অন্য একটি বৃত্ত ভরাট করে দেন। যা সম্পূর্র্ণ ভুল। কলি রায় আপত্তি জানালেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এর কারণ হিসেবে কলি রায়ের দাবি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তার যাতে চাকরি না হয়, এ জন্য এধরনের হয়রানি ও উপদ্রব করা হয়েছে।