দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল খায়েরের দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদলতে চলমান এই মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগামী একবছরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
মামলা বাতিল বিষয়ে আগের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে দিয়ে বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
মামলার বিবরণী অনুসারে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদিত পদের অতিরিক্ত ছয় জন কর্মকর্তা ও ১০৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. বেনজির আহমদ ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি নোয়াখালী সুধারাম থানায় আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ২০০৯ সালের ১৫ জুন আদালতে আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর নোয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামির অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করেন। এরপর সেই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর আসামি পক্ষে মামলা বাতিলের জন্য আবেদন করলে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে এ বছরের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন।