জেলা শহর মাইজদীতে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এহসানুল করিম রিশাদ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার গুপ্তাঙ্গ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রিশাদ হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জেলার সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামে কিশোর গ্যাং লিডার আলা উদ্দিন ও তার বাহিনীর সদস্যদের মারধরের শিকার হয়ে রিয়াজ উদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করে।
আহত রিশাদের স্বজনরা জানান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার আকিব-জাবিদ গ্রুপের সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে রিশাদের সঙ্গে চার-পাঁচ মাস আগে ঝামেলা হয়। পরে সেটি স্থানীয়দের মাধ্যমে মিটমাট হয়ে যায়। এরপর রিশাদকে আকিব-জাবেদ গ্রুপে ভেড়ানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল রিশাদ গুপ্তাঙ্গ এলাকার বাসা থেকে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট দিতে যায়।
পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় দুপুরে আকিব-জাবেদ গ্রুপের সদস্য জাবেদ, সাজ্জাদ, আরিফ, মেহেদীসহ ২০-২৫ জন চাপাতি, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে রিশাদের ওপর হামলা চালায়। তারা চাপাতি দিয়ে রিশাদকে এলোপাতাড়ি কোপায় ও লোহার রড দিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়। হামলাকারী সবাই আল ফারুক একাডেমির শিক্ষার্থী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ডা. লুৎফুল হাসান বলেন, আহত শিক্ষার্থী রিশাদের বিভিন্ন স্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে দেখে এসেছেন। হামলাকারীদের কয়েকজনের নাম তিনি পেয়েছেন। তারা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, কিশোর গ্যাং বুঝি না, যে অপরাধী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।