যশোরের মণিরামপুরে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজের চারঘণ্টা পর দাখিল পরীক্ষার্থী মৌসুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। নিহত মৌসুমীসহ ১৮ পরীক্ষার্থী মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নৌকায় ওঠে। নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর বাওড়ের পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্যদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মৌসুমী আক্তারকে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ডুবুরিসহ বাওড়ে জালটানা পাটি দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘন্টা উদ্ধার অভিযানের পর দুপুর দেড়টার দিকে মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার হয় বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান। মৌসুমী আক্তার পারখাজুরা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষা অংশ নেন। সে ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
এদিন সকালে নৌকা ডুবির খবর পেয়ে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল খালেক, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরীফি, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
মাদরাসা সুপার একেএম সিফাত উল্লাহ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ১৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাওড় পারাপারের জন্য ওই নৌকায় ওঠে। বাওড়ের মাঝামাঝি স্থলে পৌঁছানো মাত্রা পানির ঢেউয়ে যাত্রীবাহি নৌকাটি ডুবে যায়। এতে অন্যদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দুপুর দেড়টার দিকে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ করে খুলনা থেকে আসা ডুবুরি একটি দল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরীফি জানান, সকালে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসি পারখাজুরা বাওড়ে। সারাদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে উদ্ধার কর্মীদের সাথে নৌকায় এই পানিতে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ডুবে যাওয়া অন্য পরীক্ষার্থীরা কমবেশি অসুস্থ হলেও তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।