নড়াইল কলেজর শিক্ষক অরুণ রায়কে (৭২) গলা কেটে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এগারখান এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অরুণ রায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক নিভা রানী পাঠকের স্বামী।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তরা বলেন, গত এক সপ্তাহেও মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো জট খোলেনি। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ মামলার আসামিদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তুলারামপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিত কুমার মল্লিক, নিহতের স্ত্রী উপপরিচালক এবং মামলার বাদি নিভা রাণী পাঠক, নিহতের ভাই কলেজ শিক্ষক স্বপন রায়, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিপ্লব সেন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক নিখিল আঢ্য, নিখিল পাঠক, রমেশ চন্দ্র অধিকারী, স্বপন অধিকারী, বিপুল বিশ্বাসসহ অনেকে। এ সময় নিহতের পূত্র প্রকৌশলী ইন্দ্রোজিত রায় উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় কয়েক গ্রামের কয়েক’শত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক মানববন্ধনে বলেন, তার স্বামী কারও কোনো ক্ষতি করেনি, কাওকে ফাঁকি দেয়নি ও বঞ্চিত করেনি। সব সময় মানুষের পাশে থেকেছেন, উপকার করেছেন. এলাকার মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করেছেন। কখনও ভাবতে পারিনি তার শেষ পরিনতি এই হবে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করলো তার বিচার চাই। এ ধরণের পরিণতি যেন আর কারও না হয়।
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই শিমুল কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিহতের ঘটনায় যে ৬জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৩ অক্টোবর রাতে সদর থানা পুলিশ সদরের তুলরামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক অরুণ রায়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, এ বাড়িতে তিনি একা থাকতেন। শুক্রবার সারাদিন অরুণ রায়ের সাথে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে না পাওয়ায় সন্ধ্যার পর নীভা রাণী পাঠক খুলনা থেকে বাড়িতে এসে স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। নিহতের ঘটনায় ২৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।