স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার বাদি ও তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় বরিশাল জেলার উজিরপুর মডেল থানার ওসি’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড হানুয়ার বাসিন্দা ও অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা ফরিদ হোসেন শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার নবম শেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে (১৪) স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো একই গ্রামের কালাম তালুকদারের বখাটে পুত্র সাহেদ তালুকদার। বিষয়টি তার মেয়ে তাদের জানানোর পর সাহেদের স্বজনদের কাছে বিচার দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে সাহেদ ও তার সহযোগীরা গত ১২ এপ্রিল বিকেলে ফরিদের বাড়ির সামনে থেকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি (ফরিদ) বাদি হয়ে বখাটে সাহেদ তালুকদারসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ আরও বলেন, তার মেয়েকে অপহরনের ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ও থানা পুলিশের সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় পুলিশ বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে অপহরনের চারদিন পর (১৬ এপ্রিল) অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। থানায় মামলা দায়েরের পরেরদিন মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা তাকে (ফরিদ) মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাঁপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি গত ১৭ এপ্রিল বাদি ফরিদ ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম উজিরপুর মডেল থানার (ওসি) শিশির কুমার পালকে জানাতে থানায় যায়। এ সময় ওসি শিশির কুমার পাল তাকে (মামলার বাদি ফরিদ) ও তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত স্কুলছাত্রীর মা শিউলি বেগম বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তার স্কুল পড়ুয়া অপহৃত মেয়েকে উদ্ধারে থানা পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছেন। উল্টো আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে মামলা তুলে নিতে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনের পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর মডেল থানার (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।