নয়ন বন্ড নেই, আছে হানি বন্ড, লারেলাপ্পা - দৈনিকশিক্ষা

গ্যাং কালচার-১২নয়ন বন্ড নেই, আছে হানি বন্ড, লারেলাপ্পা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নয়ন বন্ড এখনও সারাদেশে মানুষের মুখে মুখে। দুর্ধর্ষ এই বখাটে সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছিল তার স্বামীকে। চাঞ্চল্যকর সেই রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় বন্ড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বেশ আগেই। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আবু জাফর সালেহ্‌।

গ্রুপের সেকেন্ড  ইন কমান্ড রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজী গ্রেফতার হওয়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছে বন্ড গ্রুপের সক্রিয় সদস্যরা। নয়ন বন্ড এখন নেই। তবে এখনও আছে বখাটেদের গ্রুপ হানি বন্ড ও লারেলাপ্পা। বরগুনায় প্রভাবশালীদের প্রশ্রয়ে এখনও কমবেশি সক্রিয় একাধিক কিশোর গ্রুপের বখাটেরা। প্রকাশ্যে তাদের উৎপাত কিছুটা কমেছে। বখাটেদের গ্রুপের মধ্যে লারেলাপ্পা ও হানি বন্ড গোপনে তৎপর। নয়ন বন্ডের ০০৭ গ্রুপ ভেঙে নতুন নাম করা হয় 'পার্ট অব ০০৭'। এ গ্রুপ এখন নেই। পরে এই গ্রুপের কয়েকজন মিলে করে 'টিম-৬১'। এদেরও কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

গ্রুপ হানি বন্ড : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের একটি নারী গ্রুপের নাম ছিল হানি বন্ড। এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। নয়ন বন্ড তাদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেসে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়সহ মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত রাখত। তারা নিয়মিত মাদকসেবী ছিল। নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার পর তারা এখন আত্মগোপনে। লারেলাপ্পা নামের আরেকটি মেসেঞ্জার গ্রুপের ব্যাপারে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও এ গ্রুপটি বরগুনা কলেজ ছাত্রদের নিয়ে গঠিত। মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে তারা সংশ্নিষ্ট।

টিম-৬১ : টিম-৬১ এর অ্যাডমিন বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইরফান আহম্মেদ বিশাল জানান, ঈদের আগে রমজান উপলক্ষে গরিব-মিসকিনদের ইফতার করাবার জন্য বন্ধুদের নিয়ে টিম-৬১ খোলা হয়েছিল। পরে বড় ভাই অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথের (এমপিপুত্র) নির্দেশে তা বন্ধ করে দিয়েছি। চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ভায়রা।

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততায় আলোচনায় আসে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং ০০৭ বন্ড গ্রুপ। এরপর একে একে বরগুনায় বেরিয়ে আসে একাধিক কিশোর গ্যাং-এর নাম। যার সদস্য সংখ্যাও সহস্রাধিক। সচেতন মহলের দাবি, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতা এবং অভিভাবকদের উদাসীনতার কারণেই নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এই কিশোররা। প্রশাসন বলছে, এসব শিশু-কিশোরকে অপরাধচক্র থেকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের নানা পদক্ষেপ রয়েছে। তবে রিফাত শরীফ হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা কমেছে গ্যাং বাহিনীর উৎপাত।

গত ১৫ জুলাই বরগুনা প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে মাদকবিরোধী একটি মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জুন প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের গেটে শত শত লোকের সামনে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। আর রিফাত শরীফ হত্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মাদক ও ০০৭ কিশোর গ্যাং বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমবেশি ৩শ'। এ বাহিনীর সদস্যদের অধিকাংশ ছিল ছাত্র, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী। এ ছাড়াও অনেকে যুক্ত ছিল ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, অপহরণে। কেউ কেউ ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত। এই গ্যাং সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তবে হাতেগোনা কয়েকজন লিডারের (বড় ভাই) বয়স ৪০-এর মধ্যে।

গত বৃহস্পতিবার বরগুনার সবচেয়ে পুরনো বিদ্যাপীঠ জিলা স্কুলে সরেজমিনে এ প্রতিবেদক যান। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ দিকে প্রধান শিক্ষকের বাসভবন। বেশ কয়েক বছর ধরে এ ভবনটি পরিত্যক্ত। ভেতরে প্রবেশ করেই দেখা গেল মাদকের নিরাপদ অভয়াশ্রম এ ভবনটি। ইয়াবা সেবনের উপাদান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সেখানে। ঠিক একই অবস্থা বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ভেতরে। ছাত্রাবাসটি পরিত্যক্ত ঘোষণা না হলেও সেখানে হোস্টেল সুপার অথবা শিক্ষার্থীরা কেউ থাকেন না। ফলে এই ভবনেরও বেশ কয়েকটি কক্ষে নির্বিঘ্নে চলে মাদক সেবন। হোস্টেলের পেছনের দিকে দীঘির পাড়ে সরু একটি গলিপথ ধরে সামনের দিকে হাঁটতেই দেখা মেলে গোপন একটি দরজা। মাদক সেবনের পর সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার গোপন পথ সেটি। উত্তর প্রান্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবন। ভবনের ভেতরে নজরে আসে সদ্য সেবন করা ইয়াবার উপাদান ও সরঞ্জামাদি। 'বড় ভাইয়েরাও' এখানে মাদক নেয়। ছাত্রদের অনেকেই স্কুল চলাকালীন ও ছুটির পরে বিদ্যালয় কম্পাউন্ডের এসব স্পটে মাদক সেবন করে। এমনটাই জানালেন মাদকাসক্ত এক ছাত্র।

জানতে চাইলে বরগুনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ের ভেতরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আমাদের জানা ছিল না। তবে এখন সতর্ক হয়েছি। এরপর থেকে যাতে এ বিদ্যালয়কেন্দ্রিক গ্যাং সৃষ্টি হতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের সহায়তা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রশাসন গ্যাং সদস্যদের তালিকা তৈরির জন্য বলেছে এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের গতিবিধি লক্ষ রেখে শিক্ষকদের মাধ্যমে তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।

গ্যাং গ্রুপে শহরের উচ্চবিত্তের পাশাপাশি হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী তরুণ-কিশোররাও যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়াও প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীদের স্বজন, পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের ছেলেরাও দু'একজন এসব গ্রুপের সদস্য। রিফাত শরীফ হত্যার পর তারা গ্রুপ ত্যাগ করে এবং নতুন করে 'পার্ট অব ০০৭' নামের একটি গ্রুপ তৈরি করে। কিন্তু এ গ্রুপটি আবার বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফের টিম-৬১ নামের আরেকটি গ্রুপ তৈরি করে তারা। ০০৭ বন্ড গ্রুপ থেকে পার্ট অব ০০৭ অতঃপর টিম-৬১ গ্রুপ তৈরির পর ওই কিশোরেরাই আবার রিফাত শরীফ হত্যার বিচারের দাবিতে শহরে মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তবে গ্রুপ সদস্যদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির পর টিম-৬১ গ্রুপটিও ভেঙে যায়। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় বা গ্রুপভুক্ত না হলেও 'বড় ভাই'দের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে তারা যোগাযোগ রাখছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এসব গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বরগুনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকভিত্তিক বেশ কয়েকটি গ্যাং গড়ে ওঠে। এ গ্রুপটি পরস্পর তথ্য বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করে ফেসবুকের মেসেঞ্জার। গ্রুপটির পরিচালনায় নেপথ্যে থাকেন 'বড় ভাই'। বড় ভাইদের টার্গেট থাকে মূলত তাদের ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লোটা। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয় এসব কিশোর। বিশেষ করে, ছোটোখাটো দাঙ্গাহাঙ্গামা, ইভ টিজিং, মাদক বিক্রি ও নতুন করে মাদকে অভ্যস্ত করার কাজগুলো তারাই করে থাকে।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার রাতুল সিকদার জয়ের সহপাঠী মেহেদি হাসান ইমন বলেন, মূলত রাতুল সিকদার সাধারণ পরিবারের ছেলে, কিন্তু সব সময়ই তার চলাফেরা ছিল ধনাঢ্য পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে। এ ছাড়াও বড় ভাইদের সঙ্গে চলাফেরা ও তাদের অনুসরণ করার প্রবণতা ছিল তার। বিভিন্ন 'হরর ফিল্ম' দেখা ও সিরিজ কিলিং গেম খেলা, পাশাপাশি ছোট ছোট গ্রুপে আড্ডা দিয়ে মেয়েদের ইভ টিজিং, দামি বাইকে উচ্চশব্দে হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে পথচলা এই গ্যাং গ্রুপের এক ধরনের ফ্যাশন। তারা প্রত্যেকে গ্রুপে নিজস্ব সাংকেতিক বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে। গ্রুপ লিডারদের নেতৃত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে।

গত ১০ বছর ধরে বরগুনা জিলা স্কুলের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুর রহমান জানান, প্রায়ই এই স্কুলের ছাত্ররা মারামারি করে। পরে বড় ভাইয়েরা এসে মীমাংসা করে দেন। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাইয়ান হাসান অন্তর বলে, বিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্র যারা নেতৃত্বে আসতে চায় তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো বড় ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। বিভিন্ন প্রয়োজনে বড় ভাইয়েরা এগিয়ে আসেন। তাদের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত কি না জানতে চাইলে অন্তর জানায়, 'সবাই তো আর ভালো না, কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িয়ে যায়।' ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী রবিউল হাসান ইমন জানায়, এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কিছু শিক্ষার্থী বড় ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এই বড় ভাইয়েরা তাদের একাংশ ছাত্রদের মাদকে আসক্ত করে। তবে বড় ভাই কারা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চায়নি সে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, পারিবারিক শিক্ষার অভাব এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে সচেতনতামূলক পাঠদান না থাকায় এ অবস্থা। বরগুনায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কমে গেছে। ফলে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা অবসর সময় কাটাতে না পেরে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।

বরগুনা জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে শিথিলতা, স্থানীয় রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পারিবারিক দায়িত্বহীনতার ফলেই বরগুনায় এ ধরনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এসব গ্যাং বাহিনী এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বরগুনায় কিশোর গ্যাং বন্ধসহ শিশু-কিশোরদের অপরাধ থেকে সরিয়ে আনতে পুলিশের আইনি কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিভাবক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমামসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা হচ্ছে। বরগুনায় যাতে আর কোনো ন্যক্কারজনক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সার্বক্ষণিক পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। (শেষ)

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042078495025635