কলকাতার নামী পতঙ্গবিদরা বাংলাদেশের পাশে বরাভয় নিয়ে দাঁড়ালেন। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দল এফএও যদিও জানিয়েছিল, পাকিস্তান ও ভারতে মাইলের পর মাইল ক্ষেত সাবাড় করে দেয়া পঙ্গপালের ঝাঁক এরপর বাংলাদেশে হানা দেবে। কিন্তু, কলকাতার একদল নামী এন্টোমোলজিস্ট বা পতঙ্গবিদ জানাচ্ছেন যে মৌসুমী বায়ুর গতিপথ এর ওপর পঙ্গপালের ঝাঁকের আসা যাওয়া নির্ভর করে।
পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে পঙ্গপালের ঝাঁক উড়ে গেছে রাজস্থানের মরু অঞ্চলের দিকে। মৌসুমী বায়ু অনুসরণ করে তা ফিরবে আবার পাঞ্জাবের দিকে। তারপর আবার তা যাবে রাজস্থান অভিমুখে। মৌসুমী বায়ুর গতিপথ যখন বাংলাদেশ অভিমুখী হবে ততদিনে পঙ্গপালের প্রজনন ঋতু এসে যাবে। সেই সময় পঙ্গপাল ওড়েনা।
তাই, বাংলাদেশের পঙ্গপাল আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘ দু মাস আগেই এই পঙ্গপালের ঝাঁক সম্পর্কে পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশকে অবহিত করেছিল। এই মর্মে মানবজমিনে বিস্তারিত রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছিল। পাকিস্তান এবং ভারতের ফসল এই পঙ্গপালের ঝাঁক দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশে বিপদের সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।