বছরের পর বছর শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সরকারি কলেজ শিক্ষকরা আবারও পছন্দের পদে বদলি হওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, দুই শিক্ষা অধিদপ্তর, ডিআইএ, এনসিটিবি, সেসিপ, সেকায়েপসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রায় ২৫ জন কর্মকর্তাকে বদলির খসড়া তালিকা তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যে কোনোও সময় তাদেরকে বদলি করা হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন খবর পাওয়ার পর তারা তাদের পছন্দের পদে পদায়ন/বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন। এই কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী। তবু তারা ‘যে কোনো মূল্যে’ শিক্ষার লোভনীয় পদে আকড়ে রয়েছেন।
একাধিক সূত্র দৈনিকশিক্ষাকে জানায়, কামাল উদ্দিন হায়দার নামক একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করার চেষ্টা হলেও কামালের পছন্দ ইডেন কলেজ। গত চার বছরের বিভিন্ন সময়ে মহাপরিচালকদের কাছে কামালের বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগের কপি দৈনিকশিক্ষার হাতেও রয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে জাতীয়করণ বিরোধী সমাবেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে ওঠার অভিযোগ কামালের বিরুদ্ধে। গত ডিসেম্বর মাসে জাতীয় পতাকার আদলে কেক বানানোর অভিযোগও কামালের বিরুদ্ধে। সেই কামালকেই শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নয়-দশ বছর যাবত ডিআইএতে থাকা তিনজন কর্মকর্তা এবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পদায়ন চান। না পেলে ঢাকার যে কোনো সরকারি কলেজে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও এবং নিয়োগ বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা দুই জন কর্মকর্তাও নিরাপদ পদায়ন চান। ঢাকার বাইরে যাওয়া ঠেকাতে যত টাকা লাগুক তা খরচ করতে রাজি তারা।
আট-নয় বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে থেকে বোর্ডের মান-সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দেয়া একজন নারী কর্মকর্তাসহ বি বি সি এস শিক্ষা সমিতির দুইজন নেতা ঢাকাতেই থাকতে চান।
সেসিপ ও সেকায়েপে সাত/আট বছর যাবত চাকরি করা চারজন কর্মকর্তা চান নতুন প্রকল্পে যেতে।