ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। স্থগিত হওয়া কমিটির বদলে নতুন কমিটি দেয়ার গুঞ্জনে তদবির শুরু করেছেন তারা। কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক থেকে শুরু করে সাবেক নেতা, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।
ঈদের পর থেকে কেন্দ্রে লবিং করার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডজনখানেক নেতা। নতুন কমিটিতে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে কেন্দ্রে তদবির শুরু করেছেন তারা। পদপ্রত্যাশী উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজি বিভাগের তৌকির মাহফুজ মাসুদ, রবিউল ইসলাম পলাশ, তন্ময় সাহা টনি ও রিজভী আহমেদ পাপন। অর্থনীতি বিভাগের মিজানুর রহমান লালন, ফাহিমুর রহমান সেতু ও নাসিম আহমেদ জয় এবং আইন বিভাগের শাকিল আহমেদ সুমন, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও রেজওয়ানুল ইসলাম। এ ছাড়া কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিশির ইসলাম বাবু এবং ইইই বিভাগের কামারুজ্জামান সাগর ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রাকিবুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল কেন্দ্র থেকে শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি এবং জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে ব্যর্থ হয় তারা। এর মধ্যেই কমিটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেন কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত আছে। তাই কমিটি পুনর্বহালের আশা ছেড়ে দিয়ে নতুন কমিটির জন্য লবিং করছেন প্রার্থীরা। ঈদের পর থেকে কেন্দ্রে লবিং করে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।
পদপ্রত্যাশী তৌকির মাহফুজ মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কয়েকটি ইউনিটের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিট। দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম স্থগিত থাকায় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।’ পদপ্রত্যাশী তন্ময় সাহা টনি বলেন, ‘দুজন দিয়েই কমিটির মেয়াদ পার করে দিয়েছে তারা। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের কোনো ইচ্ছেই এদের ভেতরে নেই।’