সম্মেলনের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। ঈদের পরে ক্যাম্পাস খুললে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করবে। আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে এ সম্মেলন হতে পারে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে, জবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ বাগাতে লবিং-তদবির করে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। জবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটি সিন্ডিকেট নিজেদের অনুসারীকে শীর্ষ পদে আনতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, জবি ছাত্রলীগের বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটটির নতুন কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে করা হবে।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ জবি ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন হয়। সম্মেলনের ছয় মাস পর ওই বছরের ১৭ অক্টোবর তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর ছয় মাসের মাথায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি জবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তী সময়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি তুচ্ছ ঘটনায় সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আবার জবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কিন্তু কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ও ঘটনার তদন্ত চলাকালীন আবার জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। অনতিবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, মেধাবী, সৃজনশীল ও মানবিক নেতৃত্ব দেওয়ার বিবৃতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশী নেতারা মধুর ক্যান্টিন, ডাকসু ভবন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ধরনা দিচ্ছেন। আবার অনেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অদৃশ্য সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ পেতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
এদিকে, জবি ছাত্রলীগের সাবেক কয়েক কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের অনুসারীদের আনতে লবিং করছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা তদবিরের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নিয়মিত মহড়াও দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে বৃহত্তর ফরিদপুর, উত্তরাঞ্চল, বরিশাল, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক গ্রুপ প্রাধান্য পাচ্ছে।