পদ সৃজনের কাজ এগুচ্ছে কচ্ছপ গতিতে - দৈনিকশিক্ষা

পদ সৃজনের কাজ এগুচ্ছে কচ্ছপ গতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গত বছর আগস্টে সারাদেশে ২৯৯ কলেজকে সরকারি করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের জন্য কাগজপত্র জমা নেয়া শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রজ্ঞাপন জারির এক বছর পর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে নতুন করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মাহমুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সভায় মাত্র ৮টি সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পদসৃজনের নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দিনভর এ সভায় ৮টি কলেজের নথি যাচাই শেষ হলেও ফের মন্ত্রণালয়ে আরেকদফা যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। এরপর পদসৃজনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে কবে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে তা জানা যায়নি। 

সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানায়, এরআগে অবশ্য ৮৬টি কলেজের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ শেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেসব প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাই, নতুন করে পদসৃজনের কাগজ-পত্র তৈরি করা হচ্ছে।    

শনিবারের সভায় যে আটটি কলেজের কাগজ-পত্র প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রামের চুনতি ও সীতাকুন্ড কলেজ, কুমিল্লার কালিকাপুরে আব্দুল মতিন খসরু কলেজ, সিলেটের বালাগঞ্জ কলেজ, রংপুরের গঙ্গাচড়া কলেজ, খুলনার ফুলতলার শাহপুর কলেজ এবং রাজশাহীর বাঘা ও মোহনপুর কলেজ। সভায় এসব কলেজের অধ্যক্ষরাও উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে যে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর কাগজপত্রে সমস্যার বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নেয়া হচ্ছে। 

সভায় উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যে আটটি কলেজের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সেগুলোর রেজুলেশন করা হবে। একইসঙ্গে এগুলো আরও যাচাই করা হবে। তারপরে জনপ্রশাসনে পাঠানো হবে। 


 
কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে যাওয়া এই কাজ কবে শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি হওয়া কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজ চলছে। এই কাজ এতই কঠিন যে প্রতিটি কাগজের খুটিনাটি দেখতে হয়। সংশ্লিষ্ট কারও কাগজ ঘাটতি বা সমস্য থাকলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে যাবে। ফলে ওই শিক্ষক কিংবা কর্মচারী আত্তীকৃত হতে পারবেন না। এজন্য নথিগুলো দেখতে সময় লাগছে।   

পদসৃজনের কাজের ধীর গতির বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু কলেজের দিক থেকে সমস্যা হচ্ছে। নিয়োগ, এমপিওসহ নানা কাগজ দিতে তারা দেরি করছে। সব কাগজ পাওয়ার পরও বহু প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। 

জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণে যেসব তথ্যগুলো দেখা হচ্ছে সেগুলো হলো, আত্তীকরণের প্রস্তাবিত পদটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাটার্নভুক্ত কি না? প্যাটার্নভুক্তির সমর্থনে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যয়ন ও পরিপত্র, প্রস্তাবিত জনবলকে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা জারির আগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কি না? বিধিমোতাবেক সরকারি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সকলের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে কি না, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কি না? প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল কি না অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি যথাযথ কি না, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট প্রত্যয়ন রয়েছে কি না, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল কি না তা যাচাই, সকল পরীক্ষার সনদ, নিয়োগের সিদ্ধান্ত সন্বলিত রেজুলেশন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ কমিটি গঠনের রেজুলেশন, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নের কপি, নিয়োগ পরীক্ষার টেবুলেশন শিট, নিয়োগ অনুমোদন সংক্রান্ত রেজুলেশন, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, এমপিও শিট, প্রদর্শক ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সনদ এবং নম্বরপত্র ও অধিভুক্তির সমর্থনে পত্র বা পাঠদানের অনুমতিপত্র।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056478977203369