পদসৃজনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

পদসৃজনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পদসৃজনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা। দৈনিক শিক্ষাডটকমে টেলিফোন করে ও ইমেইল করে পদসৃজনের বর্তমান অবস্থার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা। এদিকে পদসৃজনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে কর্মসূচিও গ্রহণ করছে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক সংগঠনগুলো।

গত বছরের আগস্টে একযোগে সারাদেশের ২৯৯টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়। কিন্তু বছর পেরোলেও এসব সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো বেসরকারিই রয়ে গেছেন। পদ সৃজন না হওয়ায় তাদের সরকারি চাকরিতে আত্তীকরণ করা হয়নি। তাই ২৯৯টি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। তাদের অনেকেই গত এক বছরে অবসরে গিয়েছেন। আবার অনেকের অবসরের সময় আসন্ন।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের পদ সৃজনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কলেজ এলাকার এমপিদের জানাতে শিক্ষা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) নেতারা। একই সাথে সরকারিকৃত কলেজে দ্র্রুত পদসৃজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানায় সিপিবির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় দ্র্রুত পদসৃজনের দাবি বাস্তাবায়নে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবু দীপু কুমার গোপসহ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

দ্র্রুত পদসৃজনের দাবি বাস্তাবায়নে সভায় নেয়া অন্যান্য কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে; দ্রুত পদায়নের জন্য কলেজভিত্তিক আবেদন তৈরি করা, যারা খুব তাড়াতাড়ি অবসরে যাবেন তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় সকশিসের মতবিনিময় সভা আয়োজন করা, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সকশিসের বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজন, আগামী ৩১ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ আয়োজন। এছাড়াও আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধি-২০১৮ এর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন সকশিস নেতারা।   

শিক্ষকদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির জহুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘কলেজ সরকারি হয়েছে নামে। নামের সাথে সরকারি ব্যবহার করা ছাড়া সরকারিকরণের কোন সুবিধা শিক্ষার্থী বা শিক্ষক-কর্মচারীরা পাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা এখনো বেসরকারি বেতন ভাতা দেয়। আর শিক্ষকরা এমপিও পান। এক বছরেও পদসৃজন হয়নি। এদিকে বহু সিনিয়র শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। পদসৃজনের আগে অবসরে গেলে তারা কোন সুবিধাই পাবেন না। তাই শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন। তাই, দ্রুত সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষকদের পদ সৃজনের দাবি জানাচ্ছি।’ 

তিনি আরও জানান, ‘পদসৃজনের বিষয়ে একই কাগজ বারবার শিক্ষকদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষকদেরও কিছু জানানো হচ্ছে না। তাই, সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের পদ সৃজনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কলেজ এলাকার এমপিদের জানাতে শিক্ষা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একইসাথে দ্রুত সরকারি শিক্ষকদের পদ সৃজনের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041599273681641