সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাচ্ছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ৬২০ জন প্রভাষক। চলতি সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ছয় শতাধিক প্রভাষককে পদোন্নতি দেয়ার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোম অথবা মঙ্গলবার সভা বসতে পারে। ডিপিসির সভায় পদোন্নতির সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতারা।
সংসদের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থ রক্ষা তথা ক্যাডারের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদ। সর্বাধিক সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এদিকে ৫৭৪ জন সহকারী অধ্যাপককে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার আদেশ জারি করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন টিটিসিতে কর্মরত শিক্ষকরা। গত ২৫ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। আদেশ জারির পর ক্ষুব্ধ একজন টিটিসির শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আদালতের দেয়া স্থিতাবস্থার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন মন্ত্রণালয়ের পদোন্নতি সংশ্লিষ্টরা। তারা এ বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামবেন।
এদিকে ২৫ অক্টোবর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পরবতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি হিসেবে যোগদান করে পূর্ববর্তী পদের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু যারা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপরসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র দপ্তরে কর্মরত তাদের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। বিধি অনুযায়ী আর্থিক বিষয় থাকায় তারা মাউশি অধিদপ্তরে ওসডি থাকাকালে ডিআইএতে নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের কাজ করতে পারবেন না বলে জানা গেছে।