পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা - দৈনিকশিক্ষা

পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গাছ না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে না। বাঁচবে না পৃথিবী। পরিবেশ। পশু-পাখি ও কীটপতঙ্গ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জানে বৃক্ষের উপকারিতার কথা। বৃক্ষ যে মানুষের কত বড় বন্ধু তা তারা আইলা, সিডর, মহাসেন ও ফণীর মতো মহাদুর্যোগে ভালোভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে কত মানুষের প্রাণ বাঁচায়, কত বন্য প্রাণীকে রক্ষা করে সুন্দর বনের সাহসী বৃক্ষরাজি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, বায়ুদূষণ রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে যেখানে প্রয়োজন কোটি কোটি বৃক্ষ রোপণ, সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র অঙ্গনে নির্বিচারে নিষ্ঠুরভাবে বৃক্ষ নিধনের মতো কাজ সচেতন দেশবাসীকে চরমভাবে মর্মাহত ও আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, সম্প্রতি (২৭.২.২০২০) সবুজ গাছপালা পরিবেষ্টিত সৌন্দর্যময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিচারে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে পরিচিত ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি ও মেহগনিসহ কোন প্রকার বিদেশি প্রজাতির ক্ষতিকর গাছ না লাগানোরও দাবি জানান। তাদের দাবি যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। এ দাবি প্রতি আমরা অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রয়োগ ও অনুশীলণের উর্বর ক্ষেত্র। দেশের মেধাবী, মননশীল ও বিবেকবান মানুষের বিচরণক্ষেত্র। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ। জাতিকে অন্ধকারে জোনাকির মতো আলো জ্বেলে দেখিয়েছে মুক্তির পথ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা যা শিখবে, দেখবে, শুনবে, তাই তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে দেশ জাতি ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণে- এটাই স্বাভাবিক। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র অঙ্গনে এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী ও জীববৈচিত্র্য বিরোধী কর্মকাণ্ড কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাশিত নয়। বরং এর বিপরীত কর্মকাণ্ডই আমাদের উৎসাহিত করে। আশা জাগায়। ভরসা জোগায় পবিবেশবান্ধব উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের।

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিকল্পতভাবে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করে সবুজ ক্যাম্পাস এবং সবুজ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস সত্যই প্রশংসার দাবিদার। এ মহৎ উদ্যোগের পেছনে যেসব শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীরা শ্রম দিয়ে, অর্থ দিয়ে ও বুদ্ধি দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদের আমরা সহস্র ধন্যবাদ জানাই। তারা বাংলার ফুল, ফল, ভেষজ, কাঠ উৎপাদনকারী ও শোভাবর্ধণকারী গাছগুলোকেই নির্বাচন করেছেন প্রিয় ক্যাম্পাসের জন্য। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু, পেয়ারা, শিমুল, পলাশ, সোনালু, জারুল, হরতকি, বহেরা, অর্জুন, ছাতিম, নিম, তমাল, কড়ই, কামরাঙ্গা,তাল, বেল, নারকেল, সুপারি, শাল, কদম, সেগুন আরও কত কি।

এসব গাছ আমাদের মাটি, আবহাওয়া উপযোগী। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সহায়ক। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সবুজ বৃক্ষছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনকে সজ্জিত করতে পারেন, পাখপাখালির অভয়াশ্রম বনাতে পারেন, তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন বৃক্ষ নিধনের মতো নিন্দনীয় কাজ করতে যাবে? তারা কি জানেন না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক জলাশয়গুলির সুরক্ষার কারণেই শীতকালে হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে ভরে উঠে সবুজ ক্যাম্পাস? প্রতিবছর পালিত হয় পাখি উৎসব। বসে পাখির মেলা। পাখির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে উঠে মানুষের মন। দেশের পাখি প্রেমিকেরা ভিড় জমান সেখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীরাও এ আনন্দ সমভাবে উপভোগ করে। আর দুঃখের বিষয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে পরিবেশবাদী সচেতন ছাত্র সমাজ। মানববন্ধন থেকে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের বন-পাহাড় উজাড় করে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এমনকি এসব গাছ পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় রুট। তারা আরও বলেন, বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সৌন্দর্যবর্ধন ও রাস্তা সম্প্রসারণের অজুহাতে ক্যাম্পাসে কোন গাছ কাটা, গাছ কেটে ক্যাম্পাসে রাখা ও পরিবহনে অনুমতি দেয়া যাবে না। গাছ কাটা প্রতিরোধ ও পরিবহন রক্ষায় অবিলন্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ক্যাম্পাস ও আশপাশের বন-পাহাড়ে গাছ কাটা প্রতিরোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক বছরের মধ্যে ক্যাম্পাসের বিলুপ্ত প্রায় এবং বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করে সেগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। বন একাকায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি ও মেহগনিসহ কোন প্রকার বিদেশি প্রজাতির গাছ লাগানো যাবে না। এ ছাড়া গাছ কাটা চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা খুলনা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ে দেখি ভিন্ন চিত্র। সুন্দরবনের সৌন্দর্য সব মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে শুধু প্রকৃতির এই মায়াজাল দেখার জন্য। তবে সময়, অর্থ, শ্রম কোনটাই কম লাগে না সুন্দরবন ভ্রমণে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বসেই উপভোগ করে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য। সেদিক দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান। ক্যাম্পাসে সুন্দরবন! অবাক হওয়ারই কথা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পেরিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গেলে সৌন্দর্যের লীলাভূমি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন লেক দেখে যে কোন ব্যক্তির প্রথম দর্শনে সুন্দরবন বলেই মনে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে লেকটি মিনি সুন্দরবন নামেই পরিচিত। দু’পাশে সারি সারি সুন্দরীবৃক্ষ আর মাঝখানে স্বচ্ছ জলরাশি। কী অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। সুন্দরী বৃক্ষের সারিগুলি লেকটিকে মিনি সুন্দরবনের উপাধি দেয়ার দাবিদার। সৌন্দর্য পিপাসুদেরই বা দোষ কোথায়? আর লেকের জলরাশি বারবার মনে করিয়ে দেয় পশুর নদীর কথা। প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয় নিসর্গ প্রেমিকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই লেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন অবসর কাটাতে। প্রকৃতি প্রেমিকেরা এখানে এসে ছবি তুলতে ভুল করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে এই ছোট্ট লেকটি। এটাকে ঘিরেই মূলত নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ ও ক্যাফেটরিয়া। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের দক্ষিণ পাশে লাগানো সুন্দরী গাছের চারার প্রায় সবগুলো বেঁচে যায় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, যা আজ লেকের জল আর পাড়ের সবুজ বনানী মিলে তৈরি করেছে একটি ভিন্ন মাত্রা।

গাছের সবুজ ছায়া আর নির্মল বাতাস মানুষের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে যত ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে তাদের কেন্দ্রস্থল হবে লেকের পাড়। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, যা দৃশ্যমান হবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে। আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখি বৃক্ষের প্রতি মানুষের অসীম মমতার বিরল দৃষ্টান্ত। সেখানে প্রকৃতিকন্যা খ্যাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তীরে প্রতিষ্ঠিত উদ্ভিদরাজির বিরল সংগ্রহশালা বোটানিক্যাল গার্ডেন। বিলুপ্ত ও প্রায় বিলুপ্ত উদ্ভিদরাজিকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে ১৯৬৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এবং তৎকালীন উপাচার্য ড. ওসমান গনির হাত ধরে ২৪ একর জমি নিয়ে গার্ডেনটি যাত্রা শুরু করে। বাকৃবির ক্যাম্পাসে অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম বোটানিক্যাল গার্ডেন।

এ গার্ডেনটি শুধু যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধন করেছে তাই নয়; এর মাধ্যমে পুরো ময়মনসিংহ শহরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন মাত্রা। দেশের মূল্যবান উদ্ভিদ প্রজাতি বিশেষ করে বিরল হার্ব জাতীয় ঔষধি ও সুগন্ধী জাতীয় উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য রয়েছে বিশেষ সংরক্ষণাগার। ঔষধি জোনে রয়েছে ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অশ্বগন্ধা, ব্রাউনিয়া, কর্পূর, আগর, অঞ্জন, অ্যানথেরিয়াম ইত্যাদি। উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য দুটি বড় গ্রীন হাউজ রয়েছে গার্ডেনটিতে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের মধ্যে রয়েছে জেসিয়া, সিলভিয়া, হৈমন্তি, ক্যামেলিয়া, আফ্রিকান টিউলিপ, রাইবেলি, অ্যাস্টার, কসমস, ডায়ান্থাস, রংগন ইত্যাদি। ফলের মধ্যে রয়েছে স্টার অ্যাপেল, আমেরিকান পেয়ারা, আঙুর, প্যাসান ফল এবং বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের ধরনের বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে- ডেফল, নাগলিঙ্গম, কালাবাস, ফলসা, বনডুবি, লোহাকাট, উদাল, পানবিলাস, অর্জুন, বয়রা, হরতকি, কাটাসিংড়া, প্যাপিরাস, স্ট্যাভিয়া, হিং, পেল্টোফোরাম ইত্যাদি। বছরে প্রায় সব সময়ই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় চার লাখেরও বেশি দর্শনার্থী গার্ডেনটি পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ হন।

গার্ডেনের সৌন্দর্য বর্ধন এবং দর্শনার্থীদের অধিক বিনোদনের জন্য পশু-পাখির প্রতিকৃতি নির্মাণ করে বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিকৃতির মধ্যে দ্বীপ জোনে রয়েছে দুটি রাজহাঁস ও দুটি সারস। গেটের সামনে পাইন গাছের গোড়ায় শান্ত-ভদ্র প্রাণী হরিণ। বাগানের ভেতরের প্রবেশ দ্বারে প্রথম আর্চের ওপর ছানাসহ বাঘের মাসি বিড়াল এবং গেট সংলগ্ন জোনের কেন্দ্র বিন্দুতে সব দর্শনার্থীদের শুভ কামনায় শাবকসহ প্রর্থনারত অবস্থায় দণ্ডায়মান রয়েছে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু। বোটানিক্যাল গার্ডেনে দর্শনার্থীদের বিশ্রাম ও আলাপচারিতার জন্য রয়েছে বিশ্রাম বেঞ্চ। বিশ্রাম বেঞ্চগুলো নদীর পাড় ঘেঁষে হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে ভেসে যাওয়া পালতোলা অথবা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় হাজরো শ্রমজীবী মানুষ এবং নাইওরীদের দর্শন মেলে।

গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিকভাবে সাহায্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ কার্যক্রম, স্নাতক পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষর্থীদের উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন এবং এম এস ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছে। প্রধান গেইট শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য সপ্তাহে সাত দিনই সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। গার্ডেনের কিউরেটরের মতে ৫৫৮টি গাছের প্রজাতি নিয়ে প্রজাতির দিক থেকে এক নম্বর বোনিক্যাল গার্ডেন এটি। বোটানিক্যাল গার্ডেনটিকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা হরেক রকম উদ্ভদরাজির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

সব মিলিয়ে অনিন্দ্য সুন্দর আর সমৃদ্ধ উদ্ভিদরাজির বোটানিক্যাল গার্ডেনটিকে নিয়ে গর্ব করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বোটানিক্যাল গার্ডেনটি দিনের পর দিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তার সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মাঝে বিলিয়ে যাবে এমনটিই প্রত্যাশা সবার। আমাদের কথা- পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এসব দৃষ্টান্ত দেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবিগুলো মেনে নেবে। বৃক্ষ নিধনের মতো অপকর্ম থেকে বিরত থাকবে। বিলুপ্ত ও প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেবে। বিদেশি ক্ষতিকর গাছের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপণে মনোযোগী হবে- এটাই দেশের বৃক্ষ প্রেমিক ও পরিবেশ সচেতন মানুষের প্রত্যাশা।

লেখক : নিতাই চন্দ্র রায়, কৃষিবিদ ও কলামিস্ট।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068089962005615