ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন শিক্ষক। অভিযোগে বলা হয়েছে, উত্তরপত্র দেয়ার জন্য তাদের বোর্ডে ডেকে নিয়েও শেষ পর্যন্ত উত্তর পত্র না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শেরপুরের নকলা হাজী জালমামুদ কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মুশফিক-উছ-ছালেহিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ০১৫০১৫৯৯৬৬ মোবাইল নম্বর থেকে গত ২০ মে দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে একটি ম্যাসেজ এর মাধ্যমে তাকে যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্রের পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগের খবর দেয়া হয়। ২২ মে সকাল ১০টায় তাকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তর পত্র গ্রহণ করতে বলা হয়। তিনি নির্ধারিত সময়েরর পূর্বেই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে হাজির হয়ে পরীক্ষকদের সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে তাকে ৩০০ উত্তর পত্রের বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি বরাদ্দ পত্র নিয়ে উত্তরপত্র গ্রহণ করতে গেলে পরীক্ষা শাখা থেকে ‘উত্তরপত্র নেই’বলে জানিয়ে বিদায় দেওয়া হয়।
যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক শেরপুর সরকারী কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র দাসসহ আরও অনেক শিক্ষকের সঙ্গে বোর্ড কর্তৃপক্ষ একই আচরণ করেছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা ঢাকা বোর্ডের এরকম খামখেয়ালিপনার প্রতিকার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর কেউ খাতা নিতে আসলে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমার জানা মতে নির্ধারিত সময়ের পর আসায় দুই চারজন উত্তরপত্র পাননি।