কলাপাড়ায় পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার পথে নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে প্রকাশ্যে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ৪ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই চার বখাটে যুবক ছাত্রীর ওড়না ধরে টানাটানিসহ শ্লীলতাহানি করলে গ্রামবাসীর সহায়তায় গ্রেফতার হয় তারা।
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের মাটির টিলা সংলগ্ন সড়কে সোমবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রীটি এ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, জানায় পুলিশ ও গ্রামবাসী।তবে এ ঘটনার পরই বখাটে গ্যাং নেতা মামুন পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার ৪ যুবকরা হল হেলাল গাজীর ছেলে সরোয়ার হোসেন(২০), নাসির গাজীর ছেলে নোমান(২০), বেল্লাল গাজীর ছেলে হাসান গাজী(২১) ও আবুল কালামের ছেলে মো. নাজমুল(২০)। এরা সবাই নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে নয় জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগ এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘ দিন ধরে কুমির মারা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে মামুন (২০) তার সহযোগিদের নিয়ে ছাত্রীটি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
এতে সে রাজি না হওয়ায় সোমবার মাদ্রাসার পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার পথে মামুন তার সহযোগিদের নিয়ে মেয়েটির গায়ের ওড়না ধরে টানাটানি করে এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী তখন ধাওয়া করলে ৪ বখাটে আটক হয়। খবর পেয়ে পুলিশে এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
কলাপাড়া থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ওই চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে এখনও পলাতক রয়েছে প্রধান আসামী মামুন ও তার সহযোগি নাসির হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল(১৯),আঃ রাজ্জাকের ছেলে শফিকুল (১৮), গোলাম মাওলার ছেলে শাকিল (১৯) , নুর হোসেনের ছেলে জুবায়ের (১৯)। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।