প্রধানশিক্ষকের পছন্দ অনুযায়ী মাথার চুল না কাটার কারণে পরীক্ষা চলাকালীন হলে ঢুকে বিজয় নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত শিক্ষার্থী পাহাড় উজিলাব গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের লাখপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এ ঘটনায় লজ্জায় ও অপমানে ওই ছাত্র বাড়িতে এসে অতিরিক্ত ড্রাগ গ্রহণ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী উক্ত ছাত্রকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য হলে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর প্রধানশিক্ষক আফজাল হোসেন কাজল এবড়োখেবড়ো করে উক্ত ছাত্রের চুল কেটে দেন।
এরকম ঘটনায় বিজয়সহ অন্য শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষার্থী বিজয় বাড়িতে এসে লজ্জায় ও অপমানে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে চেতনানাশক কিছু খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বিজয়ের জ্ঞান না ফেরায় সন্ধ্যার দিকে বিজয়কে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়ের মা জানান, আমার ছেলে দীর্ঘ ৫ বছর যাবত্ এ স্কুলে লেখাপড়া করে। তার রোল নাম্বার ৫। এ ৫ বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোনো খারাপ কাজের ঘটনা শুনি নাই। এমনকি শিক্ষকরাও আমার ছেলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি। আমার ছেলের মাথার চুল প্রধানশিক্ষকের পছন্দ না হলে তিনি তাকে আলাদাভাবে বলতে পারতেন।
অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষককে বিদ্যালয়ে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো (মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট) মো. শ্যামল জানান, অতিরিক্ত ড্রাগ পয়জন গ্রহণের কারণেই এ শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি যাচাই করেছি। ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদের বলেছি তারা সবাই বলেছে ঘটনাটি সাজানো এবং বানোয়াট।