চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পরীক্ষার খাতা জালিয়াতির অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষক প্রফেসর ড. সুপ্তিকণা মজুমদারকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) সৈয়দ ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘আদেশক্রমে আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় ১(ক)নং সিদ্ধান্তানুযায়ী আপনার প্রদত্ত শাস্তি পরিবর্তন করে আপনাকে সতর্ক করা হলো এবং অদ্য তারিখ হতে একবছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখা হলো।’
জানা যায়, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩য় বর্ষ (সম্মান) পরীক্ষার ৩০৮ নং কোর্সের (প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি) পরীক্ষার কাজে দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং পরীক্ষার খাতা জালিয়াতির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন একই বিভাগের তৎকালীণ প্রভাষক (বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক) লিটন মিত্র। তদন্ত শেষে লিটন মিত্রের করা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম কে নূর আহমেদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার শামসুল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে , চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫(বি)ধারা অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়ায় প্রফেসর ড. সুপ্তিকণা মজুমদারকে বহিষ্বার করা হয়। এই সময় একই অভিযোগে আরেক সহকারী অধ্যাপক শিপক কৃষ্ণ দেবনাথকে ৩ বছরের জন্য সকল ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষককে স্বপদে বহাল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার সৈয়দ ফজলুল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,গত সিন্ডিকেট সভায় আগের সিন্ডিকেটে নেয়া সিদ্ধান্তের শাস্তি লঘু করা হয়েছে।