পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ৩৯নং ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রের বার্ষিক পরীক্ষার খাতা না দেখেই দুই বিষয়ে একশ করে দুইশ নম্বর দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা মো. আলমগীর হোসেন খান স্কুলশিক্ষক লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আবিদ হাসান উপজেলার ৩৯নং ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র। গত বছর ২য় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লাকী আক্তারের সাথে ওই ছাত্রের বাবার ভুল বোঝাবুঝি হয়। এরপর আবিদ তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলে ওই শিক্ষক বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠদান করাতেন। কিন্তু শিক্ষক লাকী আক্তার ছাত্র আবিদের সাথে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাসে কোনো কথা বলতেন না এবং পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। ওই বিরোধের জের ধরে সদ্য সমাপ্ত বার্ষিক পরীক্ষায় ওই শিক্ষক ছাত্র আল আবিদ হাসানের উক্ত দুই বিষয়ের খাতা না দেখেই দুইশ নম্বর দিয়ে দেন। এ ঘটনায় আবিদের বাবাসহ অন্যান্য অভিভাকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক লাকী আক্তারের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজ আহসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি আমাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।