পরীক্ষার ফি দিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করার অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

পরীক্ষার ফি দিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি |

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে  চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষার নামে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষার ফি ও মাসিক বেতন আদায় করছেন শিক্ষকরা। পরে প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষার খাতা শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়িতে বসেই নামেমাত্র পরীক্ষা নিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

মাঝিরগাঁও কে এম ইউনাইটেড একাডেমি, পানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, লামচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, মাছিমপুর এএলএম উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণি ১৫০ টাকা, অষ্টম শ্রেণি ২০০ টাকা, নবম শ্রেণি ২৫০ টাকা, দশম শ্রেণি ৩০০ টাকা হারে পরীক্ষার ফি ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত মাসিক বেতন আদায় করছেন শিক্ষকরা। কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফি ও বেতন পরিশোধ করতে না পারলে তাদের স্টু্কল থেকে প্রশ্নপত্র ও খাতা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন শিক্ষকরা। করোনাকালে অনেক অভিভাবক বেকার হয়ে পড়েছেন। এই আর্থিক সংকটের মুহূর্তে শিক্ষকদের চাপে অসহায় হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষার ফি ও মাসিক বেতন পরিশোধ করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় না। প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, তাহলে কি শুধু টাকা কালেকশনের জন্যই শিক্ষকরা নামেমাত্র পরীক্ষা নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাঝিরগাঁও কে এম ইউনাইটেড একাডেমির প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন, রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন ও পানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই পরীক্ষা নিচ্ছেন তারা। তবে মাসিক বেতনের ব্যাপারে কাউকে বাধ্য করা হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের রশিদ বলেন, বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। আর মাসিক বেতন নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবুও কেন শিক্ষকরা পরীক্ষা নিলেন তা খতিয়ে দেখবেন তিনি।

ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041251182556152