পরীক্ষায় খাতা না দেখানোয় ছাত্রকে মারধর - দৈনিকশিক্ষা

পরীক্ষায় খাতা না দেখানোয় ছাত্রকে মারধর

ফরিদপুর প্রতিনিধি |

ফরিদপুরে পরীক্ষার সময় খাতা না দেখানোর ‘অপরাধে’ এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাঁ কানের পর্দা ফেটে যায়। গত বৃহস্পতিবার জেলা শহরের চাঁদমারী এলাকায় ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে ঈদগাহ ময়দানে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ শাওন আলী (১৭)। সে ওই ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ও সালথা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের সৈয়দ রাশেদ আলীর ছেলে। বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়া অভিযুক্ত মো. সাজ্জাদ (১৭) একই ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ও জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা।

শাওনের অভিযোগ, গত ২৪ অক্টোবর থেকে ইনস্টিটিউটে মধ্য পর্ব পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। পরীক্ষা কেন্দ্রে তার পাশে সাজ্জাদের আসন পড়েছে। পরীক্ষার শুরু থেকেই সাজ্জাদ তার খাতা দেখে লিখছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। ওই দিন আর সাজ্জাদকে খাতা দেখতে দেয়নি সে। পরীক্ষা শেষে ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়ার পর সাজ্জাদ ও তার কয়েকজন বহিরাগত সহযোগী তাকে (শাওন) পাশের ঈদগাহ ময়দানে নিয়ে কিল, চড়-থাপ্পড় মারে। পরে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাজ্জাদ বলে, ‘যেভাবে ঘটনার কথা বলা হয়েছে তেমনভাবে ঘটেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমি ইনস্টিটিউটের সামনে দাঁড়ানো ছিলাম। ওই সময় আমি দেখেছি দুজন অপরিচিত ছেলে এসে শাওনকে মারছে। আমি বরং তাদের হাত থেকে শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

এদিকে ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক নিখিল চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘শাওনের বাম কানের পর্দা ফেটে গেছে। এ জন্য তাকে অস্ত্রোপচার করতে হবে।’

ওই ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘শাওন বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছে। এ ব্যাপারে সাজ্জাদের অভিভাবকদের ইনস্টিটিউটে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039310455322266