পরীক্ষায় ফেল করায় সারা আক্তার স্বর্ণা নামে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত সোমবার রাতে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে বলে স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বর্ণার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে। স্বর্ণা ভিকারুননিসায় বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্বর্ণার স্বজনরা জানিয়েছেন, সোমবার তার কলেজের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে সে জীব বিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করে। সিদ্ধেশ্বরীর খন্দকার গলির বাসায় ফিরে নিজের কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেয় সে। স্বর্ণার বাবা সেলিম হাওলাদার জানান, ঘটনার সময় তারা কেউই বাসায় ছিলেন না। কক্ষের দরজা ভেঙে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেলিম বলেন, ওইদিন তার মেয়ের পরীক্ষার ফল দিয়েছিল। এক বিষয়ে ফেল করায় মন খারাপ ছিল। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান চলছে। এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নেওয়ার অভিযোগে অরিত্রী অধিকারী নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে গেলে ওই ছাত্রীর সামনেই তার বাবা-মাকে অপমান করেন কয়েকজন শিক্ষিকা। অপমান সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছিল অরিত্রী অধিকারী।