র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া ১০ শিক্ষার্থীর চলতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ মিলেছে।
পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের করা পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে আজ রুলসহ ওই আদেশ দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০জন শাস্তির কপি হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করেন। কিন্তু তা খারিজ হয়। এর বৈধতা নিয়ে তাঁরা পৃথক ১০টি রিট করেন।
আদালতে সাত শিক্ষার্থীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও মনজুর নাহিদ। তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী, শাকিলা রওশন ও শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক ও মাহফুজা বেগম।
তিনজন শিক্ষার্থীর আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী বলেন, আসছে ২৯ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাত শিক্ষার্থীর আইনজীবী মনজুর নাহিদ বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য টার্ম পরীক্ষায় সাত শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে সুযোগ দিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তারা টার্ম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তাদের আপিল খারিজ করে একাডেমিক কাউন্সিলের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, হাইকোর্ট রুল সাপেক্ষে ওই আদেশ দিয়েছেন। যদি রুল খারিজ হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শাস্তি বহাল থাকবে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
রিট আবেদনকারী ১০ শিক্ষার্থী হলেন মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুন্তাসিম, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ, আনফালুর রহমান ও অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মোহিবুল্লাহ।