পা দিয়ে লিখে বিউটির এইচএসসি পাস - Dainikshiksha

পা দিয়ে লিখে বিউটির এইচএসসি পাস

জয়পুরহাট প্রতিনিধি |

আবারও নিজের ইচ্ছাশক্তির প্রমাণ দিলেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামের বিউটি খাতুন। জন্ম থেকেই তার দু'হাত নেই। এর পরও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে দমে যাননি তিনি। এবার বগুড়া দুপচাঁচিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে 'এ' গ্রেড পেয়েছেন বিউটি। তিনি জেএসসি ও এসএসসিতেও পেয়েছিলেন জিপিএ ৫।

দু'হাত ছাড়াই যখন বিউটির জন্ম হয়, তখন মা-বাবার দুশ্চিন্তা ছিল মেয়েটি স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারবে তো? তবে যতদিন যাচ্ছে, মা-বাবার কপালের সেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ ধীরে ধীরে মিশে যাচ্ছে। তাদের মুখে ফুটে উঠছে হাসি। বিউটি বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে চাই। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই। 

বিউটি আক্তারের জন্ম জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামে। তার বাবা বায়োজিদ হোসেন এবং মা রহিমা বেগম। বাবা একজন হতদরিদ্র কৃষক। বিউটির বড় ভাই বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। তবে এখনও চাকরি পাননি। অভাবের সংসার হওয়ায় ছেলেমেয়েকে লেখাপড়ার জন্য ওই দম্পতি অনেক কষ্ট করছেন।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সামছুল হক বলেন, মেয়েটি মেধাবী। নিয়মিত ক্লাস করত সে। পা দিয়ে লিখলেও তার ইংরেজি ও বাংলা দুটি লেখাই ভালো। অধ্যক্ষের ধারণা, পা দিয়ে লেখার জন্য খুব দ্রুত লিখতে একটু সমস্যার কারণে আশানুরূপ ফল করতে পারেননি বিউটি।

ক্ষেতলালের আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকাম উদ্দীন বলেন, বিউটি আক্তার পা দিয়ে লিখে তার বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061109066009521