পৃথক অপরাধে ৫ শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরণের শাস্তি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এদের মধ্যে দুই জন কর্মকর্তার বেতন ১ বছরের জন্য কমানো হয়েছে। এক কর্মকর্তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ২ কর্মকর্তাকে তিরস্কার করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ, বিনামূল্যের বই বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের এসব শাস্তি দেয়া হয় বলে একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, অদক্ষতা, অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় বাগেরহাটের মংলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পুষ্পজিৎ মণ্ডল এবং রামপাল উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গুরুদাস বিশ্বাসকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(ই) মোতাবেক বর্তমান বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমন করা হয়েছে। এই দণ্ড আগামী এক বছর বহাল থাকবে।
অপরদিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা মো: গোলাম মোস্তফার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(বি) মোতাবেক ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া রংপুর বদরগঞ্জের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহেদুল হক এবং খুলনা তেরখাদা উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ সিংহকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(এ) উপবিধি মোতাবেক তিরস্কার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।