পাঁচ সপ্তাহ পর জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিল জাপান। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার দেশের অধিকাংশ এলাকা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তবে রাজধানী টোকিও ও ওসাকা শহরে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হলেও করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরমার্শ দেয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ৪৭টি প্রিফেকচারের মধ্যে ৩৯টি থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখনও করোনার প্রাদুর্ভাব প্রবল থাকায় রাজধানী টোকিও এবং ওসাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহুরে এলাকাসহ বাকি আটটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকবে। অর্থনৈতিক প্রণোদনা হিসেবে দ্বিতীয় বর্ধিত বাজেট নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবে। প্রয়োজন পড়লে সরকার কর্পোরেট অর্থপ্রবাহ সহজ করতে আরও পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাইরাস আমাদের চারপাশে আছে সেই বিশ্বাস নিয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে, একই সঙ্গে আমরা সাধারণ কাজ ও দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যাব।’ এক মাস আগে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
করোনা মহামারীর বাড়বাড়ন্তের মুখে গত ৭ এপ্রিল টোকিওসহ ছয়টি বড় শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কয়েক দিন পরই এটা সারা দেশেই আরোপ করা হয়। ৬ মে পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩১ মে পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। জরুরি অবস্থা জারি করায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো লোকজনকে বাড়িতে অবস্থান করার, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আদেশ দেয়ার অতিরিক্ত ক্ষমতা পায়; কিন্তু আদেশ না মানলে জরিমানা করার কোনো সুযোগ নেই।