গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক যত মধুর হয়, শিক্ষা কার্যক্রম ততোই ফলপ্রসূ হয়। জ্ঞানদান এবং জ্ঞানার্জনের জন্য চাই স্বাধীন পরিবেশ। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে মধুর সম্পর্ক এবং বাধাহীন যোগাযোগ স্থাপন হলেই প্রকৃত শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়। অতীত ইতিহাসও তাই বলে, চাপ প্রয়োগে নয়—ছাত্র-শিক্ষকের স্বাধীনভাবে জ্ঞানার্জনের সুযোগ থাকলেই প্রকৃত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী তৈরি হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানের শিক্ষাব্যবস্থা উপলব্ধি করেছে যে, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত করতে, বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের ভালোলাগার মতো করে সাজিয়ে তুলতে শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করে বিদ্যালয়কে শিশুদের মনের মতো করে গড়ে তুলতে হবে; আর বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, তবে মনে রাখতে হবে শুধু শিক্ষকদের চাপ দিয়ে সেই গুণগত/মানসম্মত শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা শিক্ষকদের। সেই শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত না হলে মানসম্মত শিক্ষা অধরাই থেকে যাবে। মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের চাপমুক্ত রাখতে হবে, অবসর সময়ে গবেষণা করার সুযোগ দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় বা অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ থেকে শিক্ষকদের মুক্তি দিতে হবে। এসব করতে পারলে মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হবে না। চাপ প্রয়োগে নয়, শিক্ষকদের আন্তরিকতাই পারে মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দিতে।
মো. জামিল বাসার : সহকারী শিক্ষক, বওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল।