চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এজন্য দুর্নীতি-অনিয়ম ছাড়াও কোমলমতি নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণের দায়ে বহিষ্কৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক এ বি এম দিদারুল ইসলামকে দায়ী করছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
বিষয়টি নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এর পর পুলিশের কাছে ওই শিক্ষক মুচলেকা দেন, ‘শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক আমাকে পুনর্বহাল করার আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ তিনি বিদ্যালয়ে যাবেন না। এমনকি কোনো শিক্ষকের সঙ্গে কোথাও খারাপ আচরণ করবেন না।
স্কুল কমিটির সভাপতি সিরাজ আহমদ বলেন, ‘এ বি এম দিদারুল ইসলাম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে সচেতন মহলের অভিযোগের অন্ত ছিল না।
এসব অভিযোগের ফয়সালা করতে গিয়ে পদে পদে নাজেহালও হতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। ইতোপূর্বে তিনি নানা অপরাধের দায়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। উপর্যুক্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হয়।’
তবে এ বি এম দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে যেসব অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তাই বোর্ড কর্তৃপক্ষ আমাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে।
তবে পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। যা পরবর্তীতে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।’