পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘বিবর্তনবাদ’ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। একই সাথে পাঠ্যবইয়ে ‘বিবর্তনবাদ’ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ করেছেন তিনি। শুক্রবার (১২ জুলাই) জুনায়েদ বাবুনগরীর একান্ত সহকারীর পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, “শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে নবম-দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে ডারউইনের ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বইগুলোতে ‘বিবর্তন’ পাঠ্য ছিল না। এই শিক্ষার মাধ্যমে মুসলিম শিক্ষার্থীর মনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে ভঙ্গুর করে দিচ্ছে এবং নাস্তিকতা উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, “বিবর্তনবাদের এ শিক্ষা চলতে থাকলে আগামী কয়েক প্রজন্ম পর এ দেশ নাস্তিক অধ্যুষিত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মুসলমানদের চেতনা নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণা ও ভোগবাদে ডুবে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে ‘ধর্ম মানুষের চিন্তা-চেতনার ফসল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের মুসলমান শিক্ষার্থীদের তা পড়ানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই থেকে ‘বিবর্তনবাদ’ বাতিলের দাবি
তিনি আরও জানান, আধুনিক বিজ্ঞানে বাতিল করায় ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, কোরিয়া, রুমানিয়ায় বিবর্তনবাদ পাঠ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। “বাতিল বিষয়টি বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে কি করে নতুনভাবে সংযোজন হয়”, প্রশ্ন জুনায়েদ বাবুনগরীর।