পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন থাকা উচিত: মুহম্মদ জাফর ইকবাল - দৈনিকশিক্ষা

পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন থাকা উচিত: মুহম্মদ জাফর ইকবাল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাঠ্যসূচিতে ট্রাফিক আইন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন কিভাবে মানতে হয় তা পাঠ্য বইয়ে থাকতে হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ছোট থেকে ট্রাফিক আইন শিখতে পারবে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত 'ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে' প্রধান বক্তা হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের পরিচয় সে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে রাস্তায় দিনকে দিন গাড়ি বাড়ছে, বাড়ছে যানজট। এখন সময় এসেছে এগুলো কন্ট্রোল করার। আমাদের সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমি আমেরিকাতে ১৫ বছর নিজের গাড়ি চালিয়েছি। কিন্তু এদেশে এসে গাড়ি চালানোর সাহস হয়নি। এখানে যেভাবে গাড়ি চলে, মনে হয় না আমি গাড়ি চালাতে পারবো। আমেরিকাতে একবার গাড়ি চালাচ্ছিলাম, কিন্তু ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মানুষ-গাড়ি নাই। তারপরেও রাস্তায় লাল বাতি জ্বলল, আমি থেমে গেলাম। কি বোকা আমি। প্রত্যেকদিন পত্র-পত্রিকার কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। একটু সতর্ক হলে ঘটনাগুলো এড়ানো সম্ভব। আমাদের বাস চালকদের হওয়ার কথা ছিলো পাইলট। কিন্তু পাইলট না হয়ে বাসচালক হওয়ায় বাসটাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চান। ওই লোকটা তাড়াহুড়া করে কোথায় যাচ্ছে, গন্তব্যে নাকি একেবারে আল্লাহর কাছে?

আমাদের দেশে রাস্তায় অনেক গাড়ি উল্লেখ করে জাফর ইকবাল বলেন, রাস্তায় গাড়ি নাই মানে দেশটার উন্নতি হয় নাই। একটা দেশ উন্নত হওয়া শুরু করলে রাস্তায় প্রচুর ট্র্যাফিক হয়, এটা স্বাভাবিক বিষয়। এখন এটাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ পেরেছে, বাংলাদেশও পারবে। আশা করছি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বাহবা দিয়ে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, তোমরা দেখিয়ে দিয়েছ, অ্যাম্বুলেন্স-রিকশার জন্য আলাদা লেন রয়েছে। বাংলাদেশের ১ কোটি মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে, তার‍া কেউ আইন ভঙ্গ করে না। কিন্তু বাংলাদেশে কেন করে?

প্রত্যেকের মধ্যে সমানভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। আইন অমান্য করে কেউ যেন পার না পায়। এখানে যারা উপস্থিত আছে তারা যদি আইন মানে এবং আরো ১০ জন বন্ধুকে আইন মানতে বাধ্য করে। তারা যদি আরো ১০ জনের দায়িত্ব নেয়, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ম তামিম বলেন, আমাদের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতা বেশি। কারণ, সবাই আইন ভেঙে পার পেয়ে যায়। আইন ভেঙে কেউ যেন পার না পেয়ে যায়, পুলিশকে তেমন কঠোর হতে হবে।

চলচ্চিত্র অভিনেতা আহমেদ শরীফ বলেন, সপ্তাহে অন্তত একটা দিন আমরা সেলিব্রেটিরা নির্দিষ্ট এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে পারি কি না বিষয়টি ভেবে দেখবেন। সবাই মিলে একটা দিন চেষ্টা করলে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033638477325439