বিশ্ব জুড়ে নেশার মতো ছড়িয়ে পড়ছে কিশোররা পাবজিতে (প্লেয়ার আননোনস ব্যাটেলগ্রাউন্ডস) । তরুণ ও যুবকদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে এ গেম। কিন্তু তার ব্যবহারকারীদের এতটাই আচ্ছন্ন করেছে এই গেম যে তা ডেকে এনেছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনাও।
মেধাবী এক ছাত্র পাবজিতে আসক্ত। মোবাইল গেমের নেশা এমনই যে দিনের পর দিন সে স্নান-খাওয়া ভুলে স্মার্টফোনে ডুবে থাকছে। ভারতের আলিপুরদুয়ার শহরের খুব কাছে লিচুতলা এলাকার বাসিন্দা ঐ ছাত্র। মা-বাবা দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। একমাত্র ছেলেকে ভালোবেসে স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন এ দম্পতি। তা-ই যেন কাল হলো।
মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ পাওয়া ছাত্রই পরের বছর অঙ্কে ফেল। কলকাতাসহ জেলার একাধিক নামি স্কুলে ভর্তি করেও ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারেননি মা-বাবা। তাদের দাবি, দিনভর বন্ধ ঘরে পাবজি খেলত কিশোর। কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলত না। দিনের পর দিন না খেয়ে শীর্ণ চেহারা হয়ে
গিয়েছিল। শেষমেশ সমাজকর্মীদের সাহায্যে বুধবার রাতে ছেলেকে ভারতের কোচবিহারের রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করেন দম্পতি।
জানা গেছে, ছেলেটি অন্ধকার ঘরে থাকতে ভালোবাসত। দিনের আলো দেখতে পছন্দ করত না। খাওয়াদাওয়ার কোনো সময় ছিল না। চার-পাঁচ দিন পরপর কখনো খুব ভোরে অথবা রাতে সামান্য খাবার খেত।
কিছুদিন আগে সেপ্টেম্বর মাসে কর্ণাটকে এই গেমের কারণেই ছেলের হাতে খুন হন বাবা।