বাংলাদেশে বিদ্যমান উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষাকে ব্যবহার উপযোগী, বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সেমিনার ও আলোচনা, লেখালেখি এবং একটি যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক দিন ধরেই কথাবার্তা চলছে। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে যুগোপযোগী পাঠ্যসূচি প্রণয়ন এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি সামনে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিগত প্রায় তিন বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এবং ইউজিসি পৃথক পৃথকভাবে এবং সম্মিলিতভাবে অনেক সেমিনার ও আলোচনা সভায় মিলিত হয়েছে, আলোচনা-পর্যালোচনা করেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পৃথক আইন ও নিয়োগ বিধিমালার বাইরে একটি মানসম্মত ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও পুরোপুরি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত সভাসমূহ এবং ইউজিসি আয়োজিত বিভিন্ন সভাসূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষক নেতা, প্রতিনিধিরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়োগ বিধিমালার চেয়ে উদার নীতিমালা সমর্থন করেছেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়োগ বিধিমালা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হিসাবে শুধু স্নাতক ডিগ্রি থাকার বিধান রয়েছে; আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগকে এমফিল বা পিএইচডি দ্বারা কমপেনসেট করার বিধান রয়েছে। উচ্চতর পদে নিয়োগ, পদোন্নতি বা পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান বিধিতে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে ওয়েটেজ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে যা মোটেই সমীচীন নয়; কাঙ্খিতও নয়। প্রসাশনিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ সকল শিক্ষক সমানভাবে পান না। আবার অনেক শিক্ষক আছেন যারা একাডেমিক কাজের বাইরে প্রশাসনিক দায়িত্বে সম্পৃক্ত হতে চান না। তাই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা পদোন্নতির ক্ষেত্রে রেয়াত হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠন-পাঠন ও শিখন-শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন শিক্ষকের ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগি থাকা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষকের প্রধানতম একটি কাজ হলো শিক্ষার্থীর মাঝে তথ্যের বিস্তরণ করা। প্রণালীবদ্ধ তথ্যসমৃদ্ধ শিক্ষার্থীই একজন ভালো শিক্ষার্থী, আর একজন ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ একজন ভালো শিক্ষার্থী হওয়া অত্যাবশ্যক। তবে একজন ভালো শিক্ষার্থী হলেই তিনি ভালো শিক্ষক হবেন- এমনটি ভাবার কোনো কারণ নাই।
টিচিং এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিজ্ঞান এবং কলার যুগপৎ এবং কার্যকর সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। একজন ভালো শিক্ষার্থীর মধ্যে যদি তথ্য বিস্তরণ ক্ষমতা এবং যোগাযোগ দক্ষতার ঘাটতি থাকে তাহলে তিনি শ্রেণিকক্ষে নিজেকে একজন কার্যকর শিক্ষক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সফল হবেন না। শ্রেণিকক্ষকে ইন্টারঅ্যাকটিভ করা, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন প্রেষণা সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একজন শিক্ষকের পর্যাপ্ত এবং স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
তাই কম তথ্যসমৃদ্ধ এবং উচ্চতর ডিগ্রি দ্বারা ঘাটতি পূরণকৃত শিক্ষার্থীদেরকে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশায় আশা নিরুৎসাহিত করার মত বিধান নীতিমালায় থাকা আবশ্যক। প্রভাষক থেকে পর্যায়ক্রমে সহকারি অধ্যাপক, সহযোগি অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য ফিডার পদে চাকুরির অভিজ্ঞতা, মোট সক্রিয় চাকুরিকালীন অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রকাশনাসহ অন্যান্য শর্তাবলীর ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে রয়েছে ভিন্নতা। এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষও বিরাজ করছে। আবার সুষ্ঠু নীতিমালার অভাবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন নজিরও রয়েছে।
তাই একই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য থাকা উচিৎ নয়। এমন বৈষম্য উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাধা স্বরূপ। মৌখিক পরীক্ষাভিত্তিক প্রচলিত শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির পদ্ধতিতে স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, কম মেধা সম্পন্ন প্রার্থীর নিয়োগ এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই, শিক্ষক নিয়োগের মত অতীব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে- বিশেষ করে এন্ট্রি লেভেলে, শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতি যথার্থ পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হলে তা মানসম্মত উচ্চশিক্ষা বিস্তারে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে- একথা জোর দিয়ে বলা যাবে না। মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন শিক্ষকের মধ্যে বিষয়গত গভীর জ্ঞান, বাচনিক দক্ষতা, যথাযথ উপস্থাপন কৌশল, শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়নের যথাযথ কৌশল সম্পর্কে সম্মক ধারণা থাকা জরুরি।
অতএব শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর বিষয়গত জ্ঞান ও শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন দক্ষতা পরিমাপের জন্য এক্সটেনসিভ লিখিত পরীক্ষা, বাচনিক দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য মৌখিক পরীক্ষা এবং উপস্থাপন কৌশল, যোগাযোগ দক্ষতা ও শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য প্রদর্শনী ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা হলে মানসম্পন্ন এবং যোগ্য ও কার্যকর শিক্ষক নির্বাচন করা সম্ভব। তবে উচ্চতর পদসমূহে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতর ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশনাসহ অন্যান্য শর্তাবলীর সাথে পরিচয় গোপন রেখে, শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকের ক্লাসরুম পারফর্মেন্স-এর কার্যকারিতা মূল্যায়নের সুযোগ রাখা হলে এবং সেটিকে বিবেচনায় নিলে দক্ষ ও কার্যকর শিক্ষকগণ পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় বাড়তি সুযোগ পাবেন- যা শিখন-শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের জন্য ইনসেন্টিভ হিসাবে কাজ করবে।
দেশের সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একই ধরনের মান বজায় রাখার স্বার্থেই শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। তবে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নই যথেষ্ট নয়; নীতিমালার বাস্তবায়ন কৌশলও এক্ষেত্রে সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এন্ট্রি লেভেলে, বিশেষ করে প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে, অবাধ প্রতিযোগিতার সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগদানও সম্ভব হবে।
ইউজিসি বা রুপান্তরিত উচ্চশিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে প্রভাষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পাদিত হলে তা অধিকতর নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য হবে বলে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞ মহল বিশ্বাস করেন। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও মঙ্গলের স্বার্থে এক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আইনকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজন হতে পারে।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, অভিন্ন নীতিমালা এবং উন্নততর ধাপভিত্তিক নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত শিক্ষকগণ অনেক যোগ্য, দক্ষ ও কার্যকর হবেন। তবে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগকৃত মেধাবী এবং প্রয়োজনীয় সকল গুণাবলী সম্পন্ন শিক্ষকদেরকে শিক্ষকতা পেশায় ধরে রাখা, মানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদেরকে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করা এবং শিক্ষকদের জন্য আকর্ষণীয় উন্নত বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা, ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ধাপে ধাপে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অর্জিত উন্নয়ন সাসটেইন্যাবল করতে প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও তথ্যসমৃদ্ধ একটি দক্ষ জনম্পদ। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠিকে জনশক্তিতে রুপান্তর করে তাদেরকে জনসম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রুপকল্প বাস্তবায়ন অনেকাংশেই সম্ভব হবে। আর দক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টিতে বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নততর শিক্ষা, গবেষণা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই। বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নততর জ্ঞানসমৃদ্ধ দক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহই পালন করে মূখ্য ভূমিকা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য মোঃ আব্দুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কার্যকর গবেষণামূলক কার্যক্রম জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে এটি সময়েরও দাবি। তাই শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি অবাধ প্রতিযোগিতামূলক, অধিকতর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হওয়া প্রয়োজন। একজন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষকের মধ্যে গুণগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য বিদ্যমান। তাছাড়া বিষয়গত জ্ঞানলাভ ও ভালো ফলাফলের জন্য কঠোর অধ্যয়ন এবং অর্জিত জ্ঞান অন্যের মাঝে বিস্তরণ করার মধ্যেও রয়েছে বিস্তর ব্যবধান ও ভিন্নতা।
তাই শিক্ষাজীবনের একটা পর্যায় শেষ করে যথাযথ ও মানসম্মত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উন্নীত হয়ে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেলেই তিনি রাতারাতি শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য অর্জন করে ফেলবেন- সমীকরণটি এত সরলরৈখিক নয়। এর জন্য প্রয়োজন নিরন্তর অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ। আর তাই, নিয়োগকৃত নতুন শিক্ষকদেরকে একজন শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য অর্জনের সহায়ক টিচিং মেথড বিষয়ক এবং শিক্ষার্থীর দক্ষতা, কৃতি ও প্রবণতা মূল্যায়নের উপযোগী পেডাগোজিক্যালী গ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক স্বল্প মেয়াদী এবং পর্যায়ক্রমিক পেডাগোজিক্যাল ট্রেনিংয়ের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। পেডাগোজিক্যাল ট্রেনিং নব নিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি এবং তাদের সামনে শিক্ষকতা জগতের দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তার সফল ও কার্যকর বাস্তবায়নের প্রয়োজনেই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে অধিকতর কার্যকর, চাহিদা ও সময়োপযোগী এবং যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের সময় এসেছে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির বিজ্ঞ সদস্যগণ নিশ্চয়ই জাতীয় চাহিদা এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বিবেচনায় নিয়ে উন্নততর শর্তযুক্ত এবং শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে ধাপভিত্তিক কার্যকর পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশমালা প্রণয়ন করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ একটি কার্যকর, যথাযথ ও আধুনিক মান সম্পন্ন অভিন্ন নীতিমালার আওতায় আসবে- জনগণের এ প্রত্যাশা খুবই স্বাভাবিক ও যুক্তিসঙ্গত নয় কি?
ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস, অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়