পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিষ্টার ফি কমানো, ইয়ার ড্রপ প্রথা বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে ভাইস চ্যান্সেলরসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে অনেক শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পরেন।
এর আগে জুলাই মাসে লাগাতার ৫ দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি করে দেয়। পরে সেই কমিটি পনের দিনের সময় নেয়। পনের দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও ওই কমিটি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষায় নির্ধারিত জিপিএ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ও দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ইয়ার ড্রপের প্রথা চালু করে এবং যারা মান উন্নয়ন পরীক্ষা দেয় তাদের ক্রেডিট ফি ৭৫ টাকার পরিবর্তে তিনশ টাকা নির্ধারণ করে। আমরা এসব নিয়ম বাতিলসহ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির মানোন্নয়ন সংখ্যা ৪ বছরে ৪ থেকে ১৬ করা, একাডেমিক কোর্সের সময় ৬ বছর থেকে ৭ বছর করা এবং ইমপ্রুভ বা ব্যাকলগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বি গ্রেড থেকে বাড়িয়ে এ প্লাস চালু করার দাবিতে গত মাসে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করি। তারপরেও আমাদের কথা না শুনলে গত মাসে আমরা আন্দোলণ শুরু করলে ভিসি স্যার একটি কমিটি গঠন করে দেন। সেই কমিটিও গত পনের দিনে কোন কাজ করে নাই বলেই আমরা আবারো এই আন্দোলন শুরু করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারসহ সবাই অবরুদ্ধই থাকবেন।
পাবিপ্রবি’র সাবেক প্রক্টর ও টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আন্দোলন করছেন মূলত ৮ম, নবম ও দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এদের সাথে বসে খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান সম্ভব, অথচ কী কারণে বর্তমান প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন আমার বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছেন। একটু সময় তো লাগবেই। যেহেতু দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি দেখে একটি শিক্ষার্থীদের জন্যে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা হবে।
তবে সন্ধ্যা সাতটায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়সহ একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।