পাসপোর্ট ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন (পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই) সম্পন্ন হলে তা আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থা চট্টগ্রাম মহানগরীতে চালু হয়েছে এক মাস আগে। ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলায় আজ ১ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে। সারা দেশ এই ব্যবস্থার আওতায় এলে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে। রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে হয়রানির অভিযোগ অনেক দিনের। বর্তমান ব্যবস্থায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর পুলিশ ভেরিভিকেশন কোন পর্যায়ে আছে, তা জানার সুযোগ নেই। দ্রুত পুলিশ ভেরিফিকেশন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সে তথ্য জানতে রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করেন অনেক আবেদনকারী।
পাসপোর্ট ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন (পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই) সম্পন্ন হলে তা আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থা চট্টগ্রাম মহানগরীতে চালু হয়েছে এক মাস আগে। ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলায় আজ ১ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে। সারা দেশ এই ব্যবস্থার আওতায় এলে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে।
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে হয়রানির অভিযোগ অনেক দিনের। বর্তমান ব্যবস্থায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর পুলিশ ভেরিভিকেশন কোন পর্যায়ে আছে, তা জানার সুযোগ নেই। দ্রুত পুলিশ ভেরিফিকেশন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সে তথ্য জানতে রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করেন অনেক আবেদনকারী।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার গতকাল শনিবার বলেন, ঢাকা রেঞ্জের ১৩টি জেলায় (ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) পাসপোর্টসহ অন্যান্য প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদনকারীরা তদন্ত কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মুঠোফোনে তা জানতে পারবেন। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাও (যিনি তথ্য যাচাই করবেন) জেনে যাবেন তাঁর কাছে আসা আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য।
ঢাকা রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স–সংক্রান্ত সেবা যাতে সহজেই সাধারণ মানুষ পায়, সে জন্য ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান এসএমএস সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তা জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তিন দিন এবং সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন পাঠাবেন। আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রতিবেদন তাঁর পক্ষে বা বিপক্ষে গেছে, তা–ও জানানো হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ব্যবস্থার সুবিধা সবাই পাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনেকেই আবেদন করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে দ্রুততম সময়ে যাচাইয়ের কাজটি সম্পন্ন হলেও আবেদনকারী তা জানতে পারেন না। ফলে অনেকেই মনে করেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিংবা ভেরিফিকেশন করতে বিলম্ব হচ্ছে। আবেদনকারীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে এসএমএস সেবা চালু হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছে মানুষ।