পাসের হার কমার নেপথ্যে ... - Dainikshiksha

পাসের হার কমার নেপথ্যে ...

নিজস্ব প্রতিবেদক |

কয়েকটি কারণে পাসের হার কমেছে বা কমানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকগণ এবং অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষকগণ। এবার দশটি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত বছর (২০১৭ খ্রিস্টাব্দে) পাসের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।  এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টিতেই নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) অংশের ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। কিন্তু বরাবরেরই মতোই অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ ব্যক্তিরা। 

যশোর, ঢাকা ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক কয়েকজন চেয়ারম্যানের মতে, প্রশ্নফাঁস হয়নি অথবা শুধু নৈব্যক্তিক অংশ ফাঁসের  সুবিধা পেয়েছে মাত্র ৫ হাজার পরীক্ষার্থী এমন তত্ত্ব মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে।  এ লক্ষ্যে বোর্ড  থেকে পরীক্ষকদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছে, “একটু কড়াভাবে খাতা দেখতে হবে।”  এবার মন্ত্রণালয়ের কর্তারা দাবি করবেন, “যদি প্রশ্ন ফাঁসই হতো তবে, সবাই পাস করতো। যেহেতু  পাসের হার গতবারের তুলনায় কম সেহেতু প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ অসত্য।”    

 

গত বছর শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছিলেন:

গত বছর (২০১৭) এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৪মে। ওইদিন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্র ত্রুটিমুক্তভাবে মূল্যায়নের কারণেই এবারের এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ও জিপিএ ৫ সামান্য কমেছে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নের আগের (শতবছরের পুরনো) পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের উত্তরপত্র মূল্যায়ন শতভাগ ত্রুটিমুক্ত না হলেও আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেকটা ভাল এবং যথার্থ হয়েছে। আগামীতে উত্তরপত্র শতভাগ ত্রুটিমূক্ত মূল্যায়নের দিকেই নজর দিবে মন্ত্রণালয়।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতির ত্রুটি দূর করার জন্য গত ৩ বছর যাবত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সেলক্ষ্যে এবার সকল শিক্ষাবোর্ডে ২৩টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 
নাহিদ বলেন, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবমূল্যায়ন ও অতিমূল্যায়ন রোধে বোর্ডসমূহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্রধান পরীক্ষকদের উত্তরমালা প্রণয়নের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা। প্রণীত নমুনা উত্তরমালার আলোকে উত্তরমালা মূল্যায়নে অন্যান্য পরীক্ষকগণকেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও বেশকিছু উত্তরপত্র একাধিক পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন ও পূনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, আগের মতো নম্বর প্রদানে তেমন তারতম্য দেখা যায়নি। আর এ কারণেই এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ দু’তেই এর প্রভাব পরেছে।
 
শিক্ষকরা আগে গুরুত্ব দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতো না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ থেকে বের হয়ে আসার জন্য একবার একটি উত্তরপত্র ২০টি কপি করে ২০ জন পরীক্ষককে মূল্যায়নের জন্য দেয়া হয়। তাতে দেখা যায় ২০ জন একই উত্তরপত্রে ২০ ধরণের নম্বর দিয়েছে এবং প্রত্যেকের নম্বরের মধ্যে ছিল বিস্তর তফাৎ। শিক্ষকদের এ গাফিলতির কারণে দেখা গেছে, একজন খারাপ শিক্ষার্থীর নিম্নমানের উত্তরপত্র বেশ ভাল নম্বর পাচ্ছে, আবার একজন ভাল শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন উত্তরপত্র বেশ কম নম্বর পাচ্ছে। এরপরই মন্ত্রণালয় পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতি গ্রহণ করে। সেই সাথে শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়, তার দেখা উত্তরপত্র অন্য শিক্ষক দ্বারা একাধিকবার পূনঃমূল্যায়ন হতে পারে এবং তাতে যদি নম্বর প্রদানে বেশ তারতম্য দেখা যায়, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশনাটি এবার মন্ত্রণালয় ১২ শতাংশ খাতার উপর প্রয়োগ করে দেখেছে একই উত্তরপত্রে একাধিক পরীক্ষকের দেয়া নম্বরে খুব একটা তারতম্য পাওয়া যায়নি। এতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন যেমন সঠিক হচ্ছে, তেমনি পরীক্ষার্থীরাও তাদের পরিশ্রমের যথার্থ মূল্য পাচ্ছে। সেই সাথে দেশের শিক্ষার মানেরও যাচাই হচ্ছে।
ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062620639801025