নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ইদ্রিছিয়া আলিম মাদরাসা জাহিদুল ইসলাম (১৩) নামে এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে শিক্ষক পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ওই মাদরাসা শিক্ষক আবদুল মান্নান ক্লাস চলাকালীন জাহিদকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেন। শিক্ষার্থী জাহিদ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের আবদুল হক সারেংবাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে।
এ বিষয় আহত শিক্ষার্থী জাহিদের পিতা কবির আহম্মদ জানান, অসাবধানতাবশত শিক্ষক আবদুল মান্নানের পিটুনিতে আমার ছেলে বাম হাত ভেঙ্গে যায়। মাদরাসা শিক্ষক মান্নান আমার বাড়িতে এসে অনেক অনুনয়বিনয় করে ক্ষমা চান এবং শিক্ষার্থী জাহিদের চিকিৎসা বাবদ যাবতীয় ব্যয়ভারের দায়িত্ব নেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে তিনি চিকিৎসার জন্য ৩ হাজার টাকা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে জাহিদকে এক্স-রে রিপোর্টসহ হাত ভাঙ্গা ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিকালে ইদ্রিছিয়া আলিম মাদরাসার খাদেম ফরহাদুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমার কাছে এখনও অভিযোগ আকারে আসেনি। বিস্তারিত জানার জন্য ৪ জন শিক্ষককে আহত শিক্ষার্থীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মান্নানের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।