সরকারি খাস পুকুর লিজ পেতে মৎসজীবী সমিতির ভূয়া সেক্রেটারি হিসেবে দরপত্রে অংশ নিলেন গোদাগাড়ীর আ.ফ.জি পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবু। আর তিনি দরপত্রে অংশ নেয়া অন্যদের উল্টো ভূয়া হিসেবে আখ্যায়িত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, গত ১৫ নভেম্বর গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন আগামী তিন বছরের জন্য তৃতীয় দফায় সরকারি খাস পুকুর লীজ দিতে দরপত্র আহ্বান করে। আর গত ২৬ নভেম্বর পুকুর দরপত্রের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উপজেলার সেখপুর মৌজার পুকুরটি বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দরে প্রথম দরদাতা হিসেবে অবিলব্দা মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি বরাদ্দ পায়। দ্বিতীয় দরদাতা ছিলো সূর্যসেনা মৎস্যজীবি সমিতি। অভিযোগ উঠেছে, মোঃ শামিম এই সমিতির সভাপতি ও আব্দুল বারী সাধারণ সম্পাদক হলেও দরপত্রের আবেদনে সাধারণ সম্পাদকের ছবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গোদাগাড়ী আ.ফ.জি বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালেয়ে কারিগরির শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবু’র। আর দরপত্রে দ্বিতীয় হয়ে প্রথম দরদাতা অবিলব্দা মৎস্যচাষী সমিতির প্রতিনিধিকে শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবু হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথম দরদাতার সকল কিছু প্রক্রিয়া ঠিক থাকলেও সূর্যসেনা মৎসজীবির সমিতি দ্বিতীয় দরদাতা হওয়ায় সেই সমিতির আসল সভাপতি ও থাকলেও পুকুর টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে নিজেই। সেই সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক সেজে সিডিউলে নিজের ছবি ব্যবহার করেছে তবে স্বাক্ষর টি রয়েছে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশরাফুলের। সূর্যসেনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির দ্বিতীয় দরদাতা হওয়ার সুবাদে শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবু প্রথম দরদাতা সমিতি অবিলব্দা মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি প্রথম দরদাতা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে অবিলব্দা মৎস্যচাষী সমিতির প্রতিনিধি মোঃ টিয়াকে হুমকি দেয় ।
এ বিষয়ে শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সূর্যসেনা মৎস্যজীবি সমিতিটি কিনে পুকুর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছি।
আর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মোঃ শিমুল আকতার জানান, টেন্ডারের বিষয়ে শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবু ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা খতিয়ে দেখা হবে।
