গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ ঘটনার ৩ দিন পর ২১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীদের বাবা হত্যা মামলা করেন।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামের শিপনের ছেলে জিহাদ (৮) ও একই গ্রামের নুরনবীর মেয়ে মীম (৬)। তারা উভয়েই চকগোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি ও শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, এ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাছাড়া এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
মৃত্যুর দিন জিহাদের মা-বাবা কোনো অভিযোগ না করলেও মীমের মা-বাবা এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ তোলেন। স্থানীয় মেম্বার ও প্রভাবশালীদের চাপে থানায় না জানিয়ে শিক্ষার্থীদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরে গত ২১ জানুয়ারি ঘটনার ৩ দিন পর জিহাদ ও মিমের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মীমের পরিবার থেকে জানানো হয়, মামলা করলে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল থেকে এলাকা ছাড়ার, এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানার ওসিকে জানালে তাদের কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সাদুল্লাপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, সেদিন বিষয়টি থানায় কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১০টায় নিহত দুই শিশুর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছন। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।