নোয়াখালী জেলার চাটখিলে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলোতে পুনঃভর্তির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির লোকজন তাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।
জানা গেছে, চাটখিলে ৩২টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২০টি মাদ্রাসা রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে এখন ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম এবং মাদ্রাসাগুলোতে ৬ষ্ঠ থেকে দাখিল শ্রেণি পর্যন্ত পুনঃভর্তি চলছে। পুনঃভর্তির সময় এসকল বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সেশন ফি, লাইব্রেরি ফি, মেরামত ফি, বিজ্ঞানাগার ফি, তথ্য ও প্রযুক্তি ফি, দরিদ্র ফি, প্রগ্রেস কার্ড ফি, স্কাউট ফি, রেড ক্রস ফি, মনিহারি ফি, বিবিধ, ক্রীড়া ফি, বিদ্যুত্ ফি, উন্নয়ন ফি, অনলাইন ফি-সহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ফি পর্যায়ক্রমে এবং শ্রেণিভেদে ৮শ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। পাল্লা মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে পাল্লা বাজারে গেলে দিনমজুর আমির হোসেন ও আব্দুল হক জানান, তাদের বর্তমানে কোনো কাজ নেই, বিদ্যালয়ে পুনঃভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করায় তারা তাদের ছেলেকে পুনঃভর্তি করাতে পারছেন না। মল্লিকা দিঘীরপাড়ের রিকশা চালক হোসেন আহম্মেদ জানান, তার মেয়ে শ্রীরায় মহিলা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তিনিও তার মেয়েকে পুনঃভর্তি করাতে পারছেন না। অভিযোগকারীরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। প্রতি বছরের শুরুতে বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলোর পুনঃভর্তির সুযোগে বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ টাকা আদায় করে থাকে।
পাল্লা মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ এবং ফি কমানোর জন্য কমিটি সভা আহ্বান করেছে। চাটখিল উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোনাজের রশিদ জানান, ভর্তির সময় বিদ্যালয়সমূহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায় করতে পারে। তবে এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।