পুরনো প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা - দৈনিকশিক্ষা

পুরনো প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি |

নওগাঁর রাণীনগরে আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় আধাঘন্টা ধরে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের পুরনো প্রশ্নপত্র দিয়ে ৬৪ জন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১ নভেম্বর ) আবাদপুকুর জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটেছে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার শুরু থেকে প্রায় আধাঘন্টা জেএসসি’র বাংলা পরীক্ষা দিতে হলো আবাদপুকুর কেন্দ্রের দুই কক্ষের ৬৪ জন পরীক্ষার্থীকে। 

পরীক্ষার্থীরা উপজেলার শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুল জলিল। 

শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেএসসি আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে  ১৪ ও ১৫ নম্বর কক্ষে শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ জন এবং করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৮৫৭ জন।

বাংলা পরীক্ষার জন্য এই দুই কক্ষে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।

অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রে খ্রিস্টাব্দ না দেখে লেখা শুরু করে। কোন কোন পরীক্ষার্থী ১০-১৫ মিনিটে ৩-৪টি প্রশ্নের উত্তর লিখে ফেলে। এ অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে বুঝতে পেরে বিষয়টি কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের জানায়। 

তারা পরীক্ষার্থীদের কথায় কোন কর্ণপাত না করে বরং ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র ঠিক আছে এবং এই পশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেন। এতে কিছু পরীক্ষার্থী প্রতিবাদ করে পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করলে প্রায় ২৫-৩০ মিনিট পর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র বদলে ২০১৮ এর প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।
 
এতে প্রায় আধাঘন্টা সময়ের ক্ষতি হলেও এই ৬৪ পরীক্ষার্থীকে কোন বাড়তি সময় দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় কম সময় পাবার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা। 

শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী মো: আকাশ, মকসেতুল, সাব্বির জানান, তারা ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র পাল্টিয়ে দেয়ার জন্য বারংবার শিক্ষক এমনকি কেন্দ্র সচিবকে জানালেও কোন গুরুত্ব দেননি। পরে এ নিয়ে পরীক্ষার্থীরা হৈচৈ শুরু করলে ২০-২৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র পাল্টিয়ে দেয়া হয়। কম সময় আমরা অনেকেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারিনি। এ কারনে আমরা মেধার বিকাশ ঘটাবো কি ভাবে। 

অভিভাবক মো: সিরাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলায় আমাদের সন্তানরা পিছিয়ে গেল সময় কম পাওয়ায়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মো: আব্দুস সোবহান ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপত্র দিয়ে মাত্র ৩-৪ মিনিট পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্র পাল্টিয়ে দিয়েছি।
তবে এই কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুল জলিল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি পুরোপুরি অবগত না। কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না তবে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006054162979126