টাঙ্গাইলের বাসাইলের একটি কেন্দ্রে এইচএসসির হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্র বহুনির্বাচনী পরীক্ষা প্রায় ২০ মিনিট পুরাতন প্রশ্নপত্রে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্রের ঘরটি পূরণ করা শুরু করে। প্রায় ২০ মিনিট পর এক শিক্ষার্থীর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের প্রশ্নপ্রত্রে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি নজরে আসে। তখনই ওই শিক্ষার্থী দায়িত্বরত শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরীক্ষার সময় ৭ মিনিট বাড়িয়ে দেন।
বুধবার সকালে এ কেন্দ্রে বাসাইল জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজ, করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজ ও শহীদ রওশন আলী কলেজের ৮৪ জন শিক্ষার্থী দুইটি কক্ষে হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট তুলে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, আমাদের কক্ষে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্নে প্রায় ২০ মিনিট পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসলে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানানো হয়। পরে তারা ৭ মিনিট পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে দেন।
একই কেন্দ্রের ১৪ নম্বর কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। পরে ৭ মিনিট সময় বাড়ানো হয়।
বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রিন্সিপাল ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুলক্রমে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্ন দেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পরিবর্তন করা হয়।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে গিয়ে প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ৭ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।