ঢাকার সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষার বিষয়টি তদন্ত করতে দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। কলেজ পরিদর্শক ড. মো. হারুন-অর-রশিদকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব তাও তদন্ত করে জানাতে বলা হয়েছে কলেজ পরিদর্শককে। ঢাকা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভিন্ন সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়। এ ধরনের ভুল কেন সংঘঠিত হলো এবং কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে সে বিষয়ে ১ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে মতামত দেবেন কলেজ পরিদর্শক।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র পরীক্ষায় রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে (কেন্দ্র-৫২) ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। সিঙ্গাইর সরকারি কলেজ ও মাদারীপুরের শাজাহান খান সরকারি কলেজ কেন্দ্রেও ঘটে একই অবস্থা। বিষয়টি প্রকাশ হলে সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, দুটি কেন্দ্রে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের পরিবর্তে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের শুধু এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের দুটি সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়। যারা সেই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে তার ওপরই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। যেহেতু পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া তিন কেন্দ্র সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনে কারও বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রতিবেদনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।