পুলিশ অনেক কিছুই পারে - দৈনিকশিক্ষা

পুলিশ অনেক কিছুই পারে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পুলিশ তো অনেক কিছুই করতে পারে। করেও। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজটা সামান্য ব্যাপার নয়। খুবই কঠিন কর্তব্য। তাদেরকে আবার বহুবিধ চাপ ও তোপের মুখেও থাকতে হয়। তোপকে তবু সামাল দেওয়া যায়। কেননা, সেটা ফাঁকা আওয়াজ বৈ নয়; তবে চাপ একেবারেই ভিন্ন ব্যাপার। চাপটা আসে ওপর থেকে। অর্থাৎ সরকারের কাছ থেকে। সবসময় যে সরাসরি আসার দরকার করে, তাও নয়। আভাস-ইঙ্গিত-ইশারা এসব থাকে; সরকার কী চায়, কী করলে খুশি হবে; এর কোনো কিছুই অজানা থাকে না। সরকারি দলের কর্তারা, ঘাড়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকে, এমনকি সমর্থকরাও কম যায় না। 'বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়' প্রবাদটা মিথ্যা নয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।নিবন্ধটি লিখেছেন  সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়াটাই পুলিশ বাহিনীর সর্বপ্রধান কর্তব্য। এই কর্তব্যের বাইরেও তাদের নানাবিধ পদক্ষেপ ঘটে। সেসব কাজ গোটা বাহিনী যে করে, তা নয়। বাহিনীর সদস্যরা করে থাকে; কিন্তু তাদের কাজে পুলিশের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, সেটাকে উৎসাহব্যঞ্জক বলার কারণ নেই। পুলিশের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ নতুন নয়। ব্রিটিশ আমলে যখন থেকে এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠা, তখন থেকেই এ অভিযোগ উত্থাপন শুরু হয়েছে, এখনও শেষ হয়নি। শেষ হবে কি! উল্টো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া- দুটি কাজকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছি আমরা।

কিন্তু ঘুষ নেওয়া তো শুধু নয়, দমন-পীড়নের অকর্তব্যও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অকাতরে করে থাকে। মূলত করে সরকারকে সন্তুষ্ট রাখা ও নিজেদের জন্য সুবিধা তৈরি করার জন্য। তবে করতে গিয়ে ক্ষমতা প্রয়োগে যে বিমল আনন্দ আছে, তার খপ্পরেও তারা পড়ে যায়। লাথি, লাঠি, টিয়ার গ্যাস, গুলি, জলকামান- এসবের ব্যবহারের কোনো অবধি থাকে না। গুম করে দেয়, গ্রেফতার করে, রিমান্ডে নেয়। ক্রসফায়ারের জানা গল্প তৈরি করে। করতে পারে কেবল যে ক্ষমতা প্রয়োগের আনন্দ লাভের সুখকর অভিজ্ঞতার লোভে, তা নয়। করতে পারে জবাবদিহির দায় থাকে না বলেও। এসব অকাজ-কুকাজ করে প্রশংসা লাভের আশাও যে অমূলক, তা মোটেই নয়। পদোন্নতিও ঘটে যায়, নীরবে।

পুলিশের গোয়েন্দারা অপরাধীদের শনাক্ত করতে অপারগ- এমন বদনাম কিন্তু কখনোই ছিল না। এখনও নেই। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেখা যাচ্ছে, সে কাজে তাদের অনেকেই অনাবিল আগ্রহ দেখান না। কখনও কখনও এমনও মনে হয়, এগোচ্ছে আবার পিছিয়ে যাচ্ছে। কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ব্যাপারটা রহস্যময় ঠেকে। সমালোচনা হয়েছে, আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে; তবু সন্তোষজনক সুরাহা হয় না। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হলো। কারা করল এই ভয়ঙ্কর কাজ, সেটা জানা গেল না। পুলিশের পক্ষ থেকে একে-ওকে ধরা-ছাড়া হলো; কিন্তু আসল অপরাধী ধরা পড়ল না। দিন গেল, মাস গেল; বছরের পর বছর গেল চলে। এই হচ্ছে, দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি- এমন সব আওয়াজ পর্যন্ত শোনা গেল। কিন্তু কারা হত্যা করেছে, কেন হত্যা করেছে, সেটা রহস্যাবৃতই রয়ে গেল। কলেজছাত্রী তনু ধর্ষিত ও নিহত হয়েছে অত্যন্ত নিরাপদ বলে পরিচিত একটি এলাকায়। অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল কিশোরী মেয়েটি। পড়াশোনা করত নিজে, অন্যের বাড়িতে গিয়ে ছাত্র পড়িয়ে উপার্জন করত। অভিনয় করত নাটকে, গান গাইত অনুষ্ঠানে। তার মৃত্যুতে দিকে দিকে প্রতিবাদ উঠেছিল। দাবি শোনা গেছে বিচারের। হিজাব পরত, তবু বাঁচতে পারেনি। পুলিশ তদন্তে নামল; দেখতে দেখতে ক'বছর পার হয়ে গেল! কিন্তু অপরাধীদের পাকড়াও করা তো পরের কথা; শনাক্ত করতেই পারল না। পারবে বলেও ভরসা রাখছেন না তনুর বাবা-মা। তনুর ভাগ্যকে বাংলাদেশের মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতীক বলাটা অযথার্থ হবে অবশ্যই। 

কিন্তু আবার পারছেও তো। এমন সব কাজ করছে পুলিশ, যা কুখ্যাত ব্রিটিশ ও বর্বর পাকিস্তানি আমলে করতে পারত না। যেমন নিরপরাধ দরিদ্র পল্লীবাসীদের ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করা; যেমনটা গাইবান্ধার সাঁওতালপল্লীতে ঘটে গেছে। বহু যুগ ধরে সাঁওতালরা ওই পল্লীতে বসবাস করে আসছে। বস্তুত ওরাই ওখানকার আদিবাসী, একেবারে আক্ষরিক অর্থে। পুলিশের লোকেরা সেখানে গুলি করতে করতে অগ্রসর হয়েছে। ভয় পেয়ে সাঁওতালরা সরে গেলে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে মিলে তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য মহৎ- ভূমি থেকে উচ্ছেদ। ঘটনার পর তদন্তের কথা শোনা গেছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা সবার কাছে উদ্ঘাটিত হয়নি। হতোও না, যদি না কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা হাইকোর্টে রিট করত। হাইকোর্টের নির্দেশে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করেছেন, ঘটনার যে ছবি আলজাজিরা টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেগুলো দেখেছেন এবং নিশ্চিত হয়েছেন- দু'জন ইউনিফর্মধারী এবং একজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর আরও কয়েকজন সদস্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দৃশ্যটা দেখেছে। তারা আগুন নেভানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কয়েক হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিল। তারাও দেখেছে। উপভোগ করেছে, নাকি উদ্বিগ্ন হয়েছে; সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তদন্তকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই সময়ে পুলিশ বাহিনীর কোন কোন সদস্য ওখানে কর্তব্যরত ছিল, তাদের সম্পর্কে পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছেন। পাননি। কাজেই তাদের যে চিহ্নিত করবেন, সেই জরুরি কাজটি অসমাপ্তই রয়ে গেল। পুলিশের কর্তব্য ছিল আক্রান্ত সাঁওতালদের নিরাপত্তা দেওয়া। উল্টো যদি তারাই ঘরবাড়িতে আগুন দেয়; সহযোগিতা দেয় ভূমিদস্যু বলে সন্দেহভাজনদের; তাহলে আক্রান্ত পল্লীবাসী যাবে কোথায়? বস্তিবাসী গৃহবধূটির পথ ধরবে কি, সবাই মিলে? সেটা কি সম্ভব? সাঁওতালপল্লীতে পুলিশের আগুন দেওয়ার সচিত্র খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল যেদিন, ঠিক সেদিনই ইত্তেফাকের ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রথম পৃষ্ঠায় বড় বড় অক্ষরে আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর বের হয়েছিল। সেটিও পুলিশ বাহিনীর একজন সদ্য চাকরিচ্যুত সদস্যকে নিয়ে। তিনি এসপি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ বাহিনীরই একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে লোক লাগিয়ে কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখার। হাসপাতালে ১৭ দিন ধরে সাব-ইন্সপেক্টরের চিকিৎসা চলে। শেষ পর্যন্ত তিনি বাঁচেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি, তদন্তও হয়নি। বরং বলা হয়েছিল, লোকটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। তেমনটা ঘটে থাকলে ঘাতক ট্রাকটি আটক করার কথা; তা করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। তাতে আসামি হিসেবে ওই এসপি, তার এক আত্মীয় এবং নিহত সাব-ইন্সপেক্টরের স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। থানা কর্তৃপক্ষ ওই নামগুলো বাদ দিয়ে মামলা রেকর্ড করলেও তদন্ত এগোয়নি। এখন, দু'বছর পরে, ওই এসপি চাকরিচ্যুত হওয়ায় নিহত সাব-ইন্সপেক্টরের এক বোন বিচারের দাবিতে পুনরায় তৎপর হয়েছেন। 

সংবাদপত্রের বিবরণ অনুযায়ী পেছনের কাহিনীটি এ রকম। এসপির সঙ্গে নিহত সাব-ইন্সপেক্টরের স্ত্রীর বাল্যপ্রণয় ছিল। পরে পারিবারিক হস্তক্ষেপে তারা উভয়েই অন্যত্র বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পর এসপি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে তার পূর্ব-প্রণয়ীর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে উদ্যোগী হন। ফলে 'রহস্যজনকভাবে' সাব-ইন্সপেক্টরের মৃত্যু ঘটে। নিহত ব্যক্তির বোন বলছেন, তার সাবেক ভাবি এখন তার নিহত ভাইয়ের বনানীর ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তার ভাষ্য এ রকম ; চাকরিচ্যুত এসপি ওই ফ্ল্যাটে থাকেন, নাকি অন্য কোনো বাসায় থাকেন, তা তারা জানেন না। তবে এটা জানেন, এখনও ওই দু'জনের মধ্যে খুবই সখ্য রয়েছে। নিহত পুলিশ অফিসারটি খুব একটা উঁচু পদে ছিলেন না। বিমানবন্দরে গোয়েন্দা বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টরের কাজ করতেন। ওই অবস্থান থেকেই তিনি যে বনানীতে একটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে গেছেন, সেখানেও একটা রহস্যের আলামত রয়েছে। খবরটিতে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল। সেটি এই, অভিযুক্ত সাবেক এসপি একজন বহুল আলোচিত ব্যক্তি। তার নিজের স্ত্রী ঘাতকদের হাতে চট্টগ্রামে নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এখনও চিহ্নিত হয়নি। প্রথমে প্রচার পেয়েছিল, হত্যাকাণ্ডটি জঙ্গিদের কাজ। কেননা এসপি সাহেব জঙ্গি দমনে অত্যন্ত দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং সে কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে হত্যা করে তার ওপরে প্রতিশোধ নিয়েছে। পরে জানা গেছে, জঙ্গিরা নয়; অন্য ঘাতকরা কাজটি করেছে। জঙ্গিদের কাজ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছিল প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা। এখন অভিযোগ উঠেছে, এসপি তার বাল্য-প্রেমিকার স্বামী এবং নিজের বিবাহিত স্ত্রী; দু'জনের হত্যার সঙ্গেই যুক্ত; নাকি তার হস্তক্ষেপেই পথের দুই কাঁটাকে সরানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, প্রেমিকার সঙ্গে নিস্কণ্টক মিলন। 

পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, একভাবে নয়, নানাভাবেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। কারও কারও ভয়ডর বলতে কিছু নেই। কারণ জবাবদিহির ব্যবস্থাটা দুর্বল। ফলে তাদের ওপর পাবলিকের আস্থা মোটেই বাড়ছে না; ক্রমাগত কমছে। কেবল পুলিশ দিয়ে কুলাচ্ছে না দেখে ভূতপূর্ব বিএনপি সরকার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গঠন করেছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনামলে র‌্যাব বিস্তর দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের গ্রেফতার, লুকানো অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে পাওয়া, সন্ত্রাসীদের পাকড়াওকরণ- এসব কাজে তাদের অর্জনটা দৃশ্যমান। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার যে র‌্যাব করে না- এমন কথা র‌্যাব নিজেও হয়তো বলতে চাইবে না। র‌্যাব সদস্যদের হাতে নিরীহ লোকেরা নির্যাতিত হয়েছে, পঙ্গু হয়ে গেছে- এমন ঘটনা কিন্তু কম ঘটেনি। এসব কাজ র‌্যাবের গৌরবজনক অর্জনের তালিকায় পড়বে না। আমাদের রাষ্ট্রীয় বাহিনী কিংবা সংস্থাগুলোর ক্ষমতা কম নয়। ক্ষমতাবানদের হস্ত প্রশস্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক; হয়েছেও। ধমক দেওয়ার লোক থাকলে ক্ষমতা তবুও সংযত হয়। কিন্তু ধমক দেওয়ার লোক আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। সেটাই আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা।

 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্নেষক

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0079379081726074