চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ডাকা ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি চলাকালে রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাস।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ওসির প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় চবি ছাত্রলীগ। রোববার সকাল পৌনে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ধর্মঘট তুলে নেয়ার অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে প্রধান ফটক হয়ে পুলিশের একটি গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করছে। এতে পুরো ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হল, সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মোখলেস, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের রমযান, আইন বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাদী মোরশেদ।
এর আগে, অস্ত্র মামলায় আটক ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ ও হাটহাজারী থানার ওসি বেলালের প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে তালা দেয় তারা। পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রেল চালককে অপহরণের অভিযোগও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ক্যাম্পাসে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। দাবি আদায়ের না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।