ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল রিপন সিংহের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই কলেজছাত্রী দিনাজপুর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৩ নং ধনতলা ইউপি, বগাদিগী (লাহিড়ী) রবিন্দ্রনাথ সিংহের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল রিপন সিংহের সঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রীর ৫ বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার পর থেকে গত ৫ বছরে ওই কলেজছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান পুলিশ কনস্টেবল রিপন সিংহ। একইসঙ্গে ওই সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন রিপন সিংহ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর দিনাজপুর শহরের হোটেল হিমাচলে দৈহিক সম্পর্ক করে। এরপর তার এবং কলেজছাত্রীর আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে গিয়েও একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করা হয়।
এরপর ওই কলেজছাত্রী পুলিশ কনস্টেবলকে বিয়ের কথা বললে তিনি অজুহাতে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের পক্ষে এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নাই।
অভিযোগে আরও জানা যায়, বর্তমানে কলেজছাত্রী তাকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন এবং ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কলেজছাত্রীর বাবা ৪ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সম্মতি হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন পুলিশ কনস্টেবল রিপন সিংহ।
একইসঙ্গে তিনি ১৭ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে অন্য নারীকে বিবাহ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগী ওই কলেজছাত্রী।
এতে উপায় না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮/০৬/২০২০) ওই কলেজছাত্রী দিনাজপুর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রিপন সিংহের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা মধুসুধন দত্ত জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করলে সত্যতা জানা যাবে।